লোহাগড়া প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চার দিনে তিন জন খুন হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার সাধারন জনগনের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। মাদক ও খুনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় লোহাগড়ার আইনশৃঙ্খলা চরম অবনতি হয়েছে বলে সাধারন মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর থেকে রেহায় পেতে প্রশাসনের কাছে আহবান জানিয়েছে। জানা গেছে, গত শুক্রবার (১০মে) রাত ৮টার দিকে লোহাগড়ার মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল শালিসী বৈঠকে যোগদানের উদ্দেশে কুন্দসী গ্রামের ছমির শিকদারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মোস্তফার ভাই রিজাউল শিকদার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। গত (১১ মে) শনিবার রাতে উপজেলার চরমঙ্গলহাটা গ্রামের রিজিয়া বেগমকে রাতের যে কোনো সময় দূবৃর্ত্তরা গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে সোনার গহনাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যায়। তিনি ওই গ্রামের মৃত তবিবর রহমানের স্ত্রী এবং আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হুমায়ূন কবিরের মা। এ দিকে সোমবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে লোহাগড়ায় দূবৃর্ত্তদের ছুরিকাঘাতে ফয়সাল মুন্সী নামে এক যুবক খুন হয়। লক্ষীপাশার আল মারকাজুল মাদরাসা সড়কে ব্যবসায়ী কাশেম খাঁনের বাড়ির সামনে থেকে পিঠে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফয়সাল লোহাগড়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের আহমদ মুন্সীর ছেলে। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত ফয়সাল নিজের ব্যাটারি চালিত ভ্যানে বেকারির মালামাল ডেলিভারি দিতো। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার রায় জানান, মোস্তফা কামাল হত্যার ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে এবং তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি দিয়েছে। এ ছাড়া কী কারণে ফয়সাল ও রিজিয়া বেগমকে দূবৃর্ত্তরা হত্যা করেছে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে।