প্রতিদিনের ডেস্ক
কাগিসো রাবাদা রবিবার সন্ধ্যায় আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরে গেছেন। তার পায়ের (ঊরুর নিচের দিকে) নরম টিস্যুতে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বিশ্বকাপের দুই সপ্তাহ আগে অসুস্থ হলেও দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের পেসারকে পুরো টুর্নামেন্টে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। রাবাদা এবার আইপিএল খেলেছেন পাঞ্জাব কিংসের হয়ে। ১১ ম্যাচে ৮.৮৫ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ১১ উইকেট। শেষ দুটি ম্যাচে তাকে পাচ্ছে না এরই মধ্যে প্লে অফে খেলার যোগ্যতা হারানো দলটি। তাই আগেভাগে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে কোনও আপত্তি জানায়নি পাঞ্জাব। দেশে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে শলাপরার্শ করবেন প্রোটিয়া পেসার। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) এক বিবৃতিতে জানায়, বিশ্বকাপের আগে তাদের মেডিক্যাল টিম রাবাদাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবে। রাবাদার অন্তর্ভুক্তি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ ১৫ জনের প্রাথমিক স্কোয়াডে একমাত্র তিনিই কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান খেলোয়াড়, যা কিছু বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। সিএসএর লক্ষ্য গড়ে এক মৌসুমে প্রত্যেক একাদশে ছয় জন ভিন্ন বর্ণের খেলোয়াড় রাখা হবে, যেখানে অন্তত দুজন কৃষ্ণাঙ্গ থাকবেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারছে না বোর্ড। স্কোয়াডে ছয় জন ভিন্ন বর্ণের খেলোয়াড় থাকলেও মাত্র একজন কৃষ্ণাঙ্গ আছেন। তাই রাবাদাকে প্রতি ম্যাচেই খেলাতে হবে, নয়তো সিএসএ তাদের লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে পড়বে। ২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে গড় বাড়ানোর সুযোগ থাকছে। স্কোয়াডে থাকার মতো আরেকজন কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় লুঙ্গি এনগিডি। কিন্তু তাকে ট্র্যাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্য ফাস্ট বোলাররা হলেন স্ট্রেস ফ্র্যাকচারে ৯ মাস পর দলে ফেরা আনরিখ নর্কিয়ে, জেরাল্ড কোয়েটজে, ওতনিয়েল বার্টম্যান ও মার্কো জানসেন। আগামী ৩ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপ শুরু করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।