৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

মণিরামপুরে ভোট কেন্দ্রে এবার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারলেন ভোটাররা

শামিম হোসেন, কুয়াদা
আমার ভোট আমি দিবো,যাকে খুশি তাকে দিবো এই প্রবাদটি শুধু ফেসবুকে প্রচার নয়, এবারের নির্বাচনে প্রবাবশালী এক পরিবারের কুক্ষিগত কেন্দ্রে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে প্রমান করলেন সাধারণ ভোটাররা। সম্প্রতি সমাপ্ত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফেসবুক মিডিয়ায় আমার ভোট আমি দিবো যাকে খুশি তাকে দিবো এই প্রবাদটি ব‍্যাপক হারে চোখে মেলে। আর ভোটাররা সেই প্রবাদটিই কাজে লাগিয়ে দিলো একক আধিপত্ত বিস্তারকারী পরিবারটির সেই আলোচিত ভোট কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রটি হলো যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ড চন্ডিপুর মাধ‍্যমিক বিদ‍্যালয় ভোট কেন্দ্র। দেখা গেছে ইতি পূর্বে ওই পরিবারের চাপে সাধারণ ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।তাতে পরিবারটি তাদের প্রার্থীর পক্ষেই কেন্দ্রের সকল ভোট দিয়ে দিতেন। তবে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওই পরিবারটির প্রতিপক্ষ গ্রুপ শক্ত অবস্থানে থাকায় সেই কাজ করতে পারেনি ওই পরিবারটি। বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, প্রভাবশালী পরিবারটি গ্রামটিকে এমন ভাবে কব্জায় রেখেছিলেন যে ইতি পূর্বে কোন নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থী ছাড়া অন‍্য প্রার্থীকে গ্রামে ঢুকতে দিতেন না। এমনকি কেন্দ্রে তাদের প্রার্থী ছাড়া অন‍্য প্রার্থীর জন‍্য কাউকে এজেন্ট পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ দিতেন না। কিন্তু আজ সকল ভয় ভীতির উদ্ধে থেকে ভোটাররা তাদের মতামত ব‍্যক্ত করেছেন সদ‍্য সমাপ্ত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট দিয়েছেন এবং তাদের মূল‍্যবান ভোট প্রদান করেছেন। আর ওই প্রভাবশালী পরিবারের বিপক্ষে অস্থান নিয়েছেন প্রবাসী জাকির হোসেন ও তার বন্ধু মোজাফ্ফার হোসেনসহ কয়েকজন। তারা নেতৃত্ব দিয়ে, ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ করেন এবং তাদের প্রার্থী আমজাদ হোসেন লাভলুকে আনারস প্রতীকে ইভিএম এর মাধ‍্যমে ৩৫০ ভোট প্রদান করেন। আর প্রভাবশালী পরিবারের প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসন পান ৭৩০ ভোট।
অভিযোগ উঠেছে ইতি পূর্বে এ ধরনের প্রতিপক্ষ না থাকায় ওই পরিবারটি একক ভাবে সকল ভোট তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাউন্ট করে নিতেন। কিন্তু এবারে প্রতিপক্ষ থাকার কারনে ও ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন হওয়ায় সেটি করতে পারেনি। এবিষয়ে কথা হয় আনারস মার্কার কর্মী জাকির হোসেন ও মোজাফফর হোসেন সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভোটারের সাথে তারা জানান, বিগত নির্বাচন গুলোতে আমরা একটি পরিবারের নির্দেশ পালন করে ভোট দিয়ে আসলেও আমরা সব সময় তাদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়ে আসছি তাই আমরা আমাদের ভবিষ‍্যাতের বিষয় কথা ভেবে আমাদের পছন্দের প্রার্থী আমজাদ হোসেন লাভলুকে বেঁচে নিয়েছি এবং ভোট প্রদান করতে সক্ষম হয়েছি। আগামী দিনে এই ওয়ার্ডে একক কোন পরিবারের নিকট আর ভোট ব্যাংক থাকবে না আমরা সেই প্রত্যাশা করছি।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়