১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

দত্তনগর খামারের যুগ্ম পরিচালক সরকারি জমির মাটি কেটে নিজের জমি ভরাট করছে

আব্দুস সেলিম, মহেশপুর
ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী উপজেলার মহেশপুরে অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম শস্য (বীজ) উৎপাদন খামার দত্তনগর কৃষি ফার্ম। দত্তনগর খামারে ভূয়া বিল ভাউচার, হাইব্রিড বীজ প্রেরণে অনিয়ম, শ্রমিকের টাকা আত্মাসাৎ, নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জর্জরিত। নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ থাকলেও এবার দত্তনগর খামারের অতিরিক্ত দায়িত্বরত যুগ্ম পরিচালক (খামার) এ কে এম কামরুজ্জামান শাহিনের বিরুদ্ধে খামারের মাটি ভেকু দিয়ে কেটে ট্রাক্টরে করে নিয়ে নিজের জমি ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। ১৫ই মে বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে গোকুলনগর খামারের অভ্যন্তরে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টরে মাটি ভর্তিকরে কুশাডাঙাঙ্গা গ্রামে তার নিজ জমি ভারাট করা হচ্ছে। এ সময় জনতার বাঁধার মুখে কিছু সময় তা বন্ধ হয়। জানা গেছে যুগ্ম পরিচালক(খামার) এ কে এম কামরুজ্জামানের বাড়ি মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর ইউনিয়নের কুশাডাংগা গ্রামে । দত্তনগর খামারটি তার নিজ এলাকায় হওয়ায় নিজের খেয়াল খুশি মতো খামার পরিচালনা করে থাকেন। স্থানীয় আব্দুল হামিদ নামে এক ব্যাক্তি এ প্রতিবেদকে বলেন এ কে এম কামরুজ্জামান এখানে যোগদানের পর থেকে একের পর এক অনিয়ম করছেন। তিনি সরকারি মাটি কেটে নিয়ে নিজের জমি ভরাট করছেন। এলাকার মানুষ বাঁধা দিলে তার লোকজন দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন। স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি বলেন উনি খামারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে খামার গুলিতে রামরাজত্ব কায়েম করেছেন। উনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে থাকেন তিনি। তিনি স্থানীয় হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপ-পরিচালক বলেন উনার কাছে সকল অনিয়মই নিয়ম। উনার গাড়ীতে প্রতি সপ্তাহে ৫০ লিটার তেল দিতে হয়। ইচ্ছা মতো তিনি শ্রমিক ছাটাই, শ্রমিকদের হাজিরা কর্তন সহ অনেক অপকর্ম করে থাকেন। কেও তার বিরুদ্ধে কথা বললেই তিনি তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে থাকেন। শুধু হয়রানি নয় চরম ভাবে অপমান অপদস্ত করে থাকেন তিনি। তিনি আরো বলেন- এসব অপকর্মের সহযোগিতা করেন গোকুলনগর খামারের উপ পরিচালক জাহিদুর রহমান। তিনি শ্রমিকদের হাজিরা নিজের ইচ্ছা মতো ভূয়া মাস্টাররোলে তৈরি করতে উপ পরিচালকদের বাধ্য করেন । শতভাগ শ্রমিকের হাজিরা ব্যাংক একাউন্টে দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তিনি বিভিন্ন অজুহাতে তা এখনো বাস্তবায়ন হতে দেননি বলে জনশ্রুতি আছে। জানা গেছে কিছু দিন আগে যুগ্ম পরিচালক এ কে এম কামরুজ্জামান কে বদলী ও যশোরের যুগ্ম পরিচালক রোকনুজ্জামনকে দত্তনগর পদায়ন করা হয় । কিন্তু অদৃশ্য শক্তির বলে তিনি এখনও এখানেই বহাল আছেন। যুগ্ম পরিচালক রোকনুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন – চিঠি পেয়ে আমি দায়িত্ব নিতে গিয়েছিলাম কিন্তু আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। দত্তনগর খামারের যুগ্ম পরিচালক (খামার) এ কে এম কামরুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন খামারে মাটি থাকার কারণে কিছু অসুভিধা হচ্ছে, সেকারণে আমি কিছু মাটি স্থান্তর করেছি। সরকারি মাটি কেটে নিজের বাগানে ভরাট করতে পারেন কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে জান। এ বিষয়ে বিএডিসির জিএম সীড দেবদাস শাহার সাথে যোগযোগ করলে তিনি বলেন – আপনার কাছে বিষয়টি শুনলাম অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়