২৪শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৮ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

‘ঋণসীমা লঙ্ঘন করা যাবে না’

প্রতিদিনের ডেস্ক:
ব্যাংকঋণের নির্দিষ্ট সীমার বেশি ঋণ পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছে বড় কয়েকটি শিল্পগ্রুপ। ঋণের ঊর্ধ্বসীমা শিথিল করার জন্য ব্যবসায়ীদের দুটি সংগঠনও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বারবর চিঠি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক তা নাকচ করে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একক ঋণসীমা কোনোভাবেই লঙ্ঘন করা যাবে না।বুধবার (১৫ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।নির্দিষ্ট সীমার বেশি ঋণ পেতে কয়েকটি শিল্পগ্রুপ ও ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ব্যাংকখাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একক ঋণসীমা লঙ্ঘন করা যাবে না। এ সংক্রান্ত আবেদনও নির্দেশনার পরিপন্থি। ব্যাংক কোম্পানি আইন মতে, ‘ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে ঋণ প্রদানের সীমা কোনোভাবেই ওই ব্যাংকের রক্ষিত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি হবে না।’এক নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, নন ফান্ডেড ও ফান্ডেড ঋণ (সুদ ছাড়া) মিলিয়ে একটি গ্রুপ ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ কোনোভাবেই পাবে না। এ ক্ষেত্রে ফান্ডেড ঋণ সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ হবে।নতুন নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সম্প্রতি কতিপয় ব্যাংক কর্তৃক একক গ্রাহক বা গ্রুপের ঋণের ঊর্ধ্বসীমা শিথিল করার জন্য আবেদন দাখিল করা হচ্ছে যা সার্কুলারের মাধ্যমে প্রদত্ত নির্দেশনার পরিপন্থি। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে বৃহৎ ঋণ ঝুঁকি হ্রাস, কর্পোরেট সুশাসন সমুন্নত রাখা এবং ঋণ বিতরণে উত্তম চর্চা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে একক গ্রাহক ঋণ সীমা কোনোক্রমেই অতিক্রম না করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, বৃহদাংক ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে গ্রুপের আওতা নির্ধারণে সার্কুলারে বর্ণিত নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়