প্রতিদিনের ডেস্ক:
গন্ধহীন ক্যাস্টর অয়েল যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে রূপচর্চায়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধেও একসময় বহুল প্রচলিত ছিল এই তেল। ক্যাস্টর অয়েল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল থাকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও মসৃণ। এছাড়া ত্বকও থাকে সুন্দর ও নরম। জেনে নিন ক্যাস্টর অয়েলের কিছু উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে। ১। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ক্যাস্টর অয়েল ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি সমৃদ্ধ উৎস যা দুর্দান্ত ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। শীতকালে এই তেল ত্বককে রাখতে পারে যত্নে। ফাটা কিউটিকলস, শুষ্ক গোড়ালি, ফাটা ঠোঁট বা অতিরিক্ত আর্দ্রতার প্রয়োজন এমন ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন এই তেল। ২। দুর্বল চুলের যত্নে শুষ্ক ও ভঙ্গুর চুলের যত্নে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন ক্যাস্টর অয়েল। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে; চুলের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি উদ্দীপিত হয় যখন ক্যাস্টর অয়েল মাথার ত্বকে, ভ্রুতে কিংবা চোখের পাপড়িতে ম্যাসাজ করা হয়। ক্যাস্টর অয়েল চুল ঘন করে, কারণ এটি ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। ৩। খুশকি দূর করতে বিরক্তিকর এবং বিব্রতকর খুশকি থেকে আমাদের দূরে রাখতে পারে ক্যাস্টর অয়েল। শুষ্ক খুশকির জন্য এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগান। তৈলাক্ত খুশকির জন্য এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল, এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ৩০ মিনিট মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে রেখে এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ৪। পেশী ব্যথার জন্য ব্যায়ামের কারণে পেশী ব্যথা করে অনেক সময়। এই ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে ক্যাস্টর অয়েল। একটি ফ্ল্যানেল কাপড়ে হালকাভাবে ক্যাস্টর অয়েল ঢেলে নিন এবং পেশীর উপরে রাখুন। হিটিং প্যাডে মাঝারি সেটিং ব্যবহার করে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এর উপর। ৫। পেটের প্রদাহ কমাতে ক্যাস্টর অয়েলে থাকা রিকিনোলিক অ্যাসিড পেটের পেশী সংকোচন সহজ করতে সাহায্য করে। একটি হিটিং প্যাডসহ ক্যাস্টর অয়েল প্যাক ব্যবহার করুন পেটে। পেটের ক্র্যাম্প এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে এটি। ৬। ত্বকের সমস্যা সমাধানে কার্যকর অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হিসেবে ক্যাস্টর অয়েলের জুড়ি নেই। দাদ বা কিছু অ্যালার্জি উপশমে দারুণ কাজ করে এই তেল। হাতের তালুতে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ঘষুন। তবে সমস্যার সমাধান না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ৭। কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে পানিতে মিশ্রিত ক্যাস্টর অয়েল এবং ডিশ ওয়াশিংয়ের মিশ্রণ সরাসরি প্রয়োগ করুন যেখানে কীটপতঙ্গের আনাগোনা বেশি সেখানে। এই মিশ্রণে মরিচের গুঁড়া, রসুনের গুঁড়াও মিশিয়ে নিতে পারেন। দূর হবে কীটপতঙ্গ।