প্রতিদিনের ডেস্ক
সময়টা ভালো যাচ্ছে না লিটন দাসের। তার ব্যাটে ছন্দ নেই অনেকদিন ধরেই। যে কারণে গুঞ্জন ছিল, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে নাও থাকতে পারেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই পরীক্ষায় উতরে যান ডানহাতি এই ব্যাটার। তার ব্যাটিং শৈলীর ওপর আস্থা রেখে তাকে বিশ্বকাপ দলে রেখেছেন নির্বাচকরা। বিশ্বকাপ ও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে বিসিবিকে এক সাক্ষাৎকার দেন লিটন। যেখানে তিনি জানালেন, বাজে সময় নিয়ে কতটা ভাবেন তিনি। উদাহরণ টানলেন সতীর্থ তাওহীদ হৃদয়েরও যে ভালো সময়ে কীভাবে চিন্তা-ধারা ঠিক রাখতে হয়। চলতি বছর ৬ টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৭৯ রান করা লিটন বলেন, ‘ভালো সময়ে পারফরম্যান্স ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এক ম্যাচ ভালো খেলবেন, মাথার ভেতর থাকতেই পারে আমি তো ভালো খেলছি। উদাসীনভাব চলে আসে। ভালো সময়েও যে মানুষটা পরিশ্রম করে যাচ্ছে, চিন্তাধারা ভালো।’ ‘আমি যদি উদাহরণ দিই, তাহলে বলতে পারি তাওহীদ হৃদয়ের কথা। সে শেষ কিছু ম্যাচ ধরে খুবই ভালো করছে, ছন্দ ধরে রেখেছে। খারাপ সময়ে আপনার বাড়তি চিন্তার কিছু থাকে না। আপনি যখন বাজে ছন্দে থাকবেন, যত বেশি চিন্তা করবেন, আরো বেশি খারাপ হবে।’ লিটন তাই চিন্তা না করে গুরুত্ব দিতে চান অনুশীলনে, ‘আপনার কাছে একটাই জিনিস থাকে, কতটা পরিশ্রম করছেন অনুশীলনে। অনুশীলন কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ সময়ে যতটা ধীর-স্থির থাকা যায়, যত বাড়তি চিন্তা কম করা যায়। নিজের ক্রিকেটের ওপর মনোযোগ দেওয়া যায়। ’
দুঃসময়ে পাশে থাকা স্ত্রীকে নিয়ে লিটন বলেন, ‘আমার অনেক মানুষ আছে, যারা প্রতিনিয়ত উৎসাহ দেয়। অনেক কোচ আছেন, যারা উৎসাহ দেন। এই সময়ে সাহস দেওয়াটা বড় জিনিস। সবচেয়ে কাছের মানুষ আমার স্ত্রী, আমাকে সাহস দেয়। এর থেকে বড় কিছু লাগে না।’ বিশ্বকাপ নিয়ে লিটন বলেন, ‘২০২২ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে আমাদের টি-টোয়েন্টি দল অনেক ভারসাম্যপূর্ণ। আমরা অনেক সিরিজও জিতেছি। ভালো ক্রিকেট খেলেছি। আমরা ভালো দলগুলোর সঙ্গেও জিতেছি, ভালো ক্রিকেট খেলে জিতেছি। বিশ্বকাপে আলাদা চাপ থাকবে। আমরা যদি খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি এবং ধীরস্থির থেকে থেকে যদি খেলা যায়। ভয়ডরহীন ক্রিকেট যদি খেলা যায়, কোনো কিছুর আউটকাম নিয়ে না ভেবে, তাহলে আমাদের খুবই ভালো সুযোগ আছে।’