১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

এমপি আনারের এখন অনেক পুরনো কথা উঠে আসছে : কন্যা ডরিন

সোহাগ আলী, কালীগঞ্জ
ব্যবসার বিষয়ে আলোচনার নাম করে এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে বন্ধু গোপালের কলকাতার বাসা থেকে ডেকে নেয় কিলাররা। ঘাতকরা তাকে রিসিভ করে নিয়ে যায় কলকাতা নিউটাউন এলাকার সঞ্জীবা গার্ডেনের ডুপ্লেক্স বাসায়। সেখানেই নৃংশস ভাবে হত্যা করা হয় আনারকে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের অন্যতম ঘাতক সিয়াম নেপালে এবং মূল মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছে। লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন কালীগঞ্জসহ ঝিনাইদহের হাজার হাজার মানুষ। হত্যার ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার দুদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তার লাশের সন্ধান না পাওয়ায় হতাশা বাড়ছে স্বজনদের মধ্যে।
মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেনে,তিনি ভারতের ভিসা পেয়েছেন তবে ডিবি অফিস থেকে তাকে বলা হয়েছে যখন প্রয়োজন হবে তখন ভারতে যেতে হবে।ডরিন বলেন, ‘আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তারা প্রিপ্লানিং করে হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করেই আমার বাবাকে হত্যা করেছে। দুই মাস ধরে পরিকল্পনা করে সাজিয়ে গুচিয়ে তারা এ কাজটি করেছে। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে অনেকে জড়িত আছে। সুষ্ঠু তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে কারা এর সঙ্গে জড়িত। যার নাম উঠে এসেছে প্রশাসন তাকে খুঁজে বের করতে হবে। বিদেশ থেকে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। কান টানলে মাথা আসবে। আমার বাবা কালীগঞ্জ শহরে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে রাজনীতি করেছেন, তার শত্রু থাকতেই পারে। রাজনৈতিক বিষয়ে হত্যা কিনা সে বিষয়ে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না।  এমপি কন্যা বলেন,২০০৪ সালে বাবা যখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন,তখন বিএনপির একটি গ্রুপ তার নামে বিভিন্ন হয়রানি মুলক মামলা দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তার নামে সব মামলা মিথ্যা বলে প্রমান করেছেন আদালত।আমার বাবা দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে বাড়িতে আসতে পারেনি, আমাদের মুখ দেখতে পারেনি, সেই কষ্টের কথাও তুলে ধরেন আপনারা।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়