১লা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৫ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

শার্শা উপজেলায় প্রাইমারি স্কুলে ৩৬টি ওয়াস ব্লক নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম

তরিকুল ইসলাম, শার্শা
শার্শা উপজেলায় ৩৬টি ওয়াস ব্লক নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্ন মানের নির্মান কাজের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে প্রকাশ শার্শার ৩৬টি প্রাইমারী স্কুলে ওয়াস ব্লক নির্মানের ওয়ার্ক অডার্র পেয়েছেন মেসার্স সুমন ট্রেডার্স এর প্রোপাইটার আলমঙ্গীর কবির। উল্লেখিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ওয়াস ব্লক নির্মান কাজের আদেশ পেলেও তিনি নিজে নির্মান কাজ না করে ৫জন সাব ঠিকাদারের মাধ্যমে নির্মানের কাজ চালাচ্ছেন। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কোন তদারকি না থাকার কারনেই নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে এসএমসি কমিটির একাধিক সভাপতি ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান এ অভিযোগ করেছেন। জানা যায় শার্শা উপজেলায় এ বছর ৩৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াস ব্লক নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিটি ওয়াস ব্লক নির্মানের সময় রাতের অন্ধকারে ছাদ ঢালাই দেওয়ার ফলে ছাদ আকাবাকা হয় পড়েছে। তাছাড়া যেসকল ওয়াস ব্লকের ছাদ ঢালাই দেওয়া হইয়াছে তার প্রতিটিতে ১৫/২০ দিন পানি ছাদে জমিয়ে রাখার পরির্বতে২/৩ দিন পানি জমিয়ে রেখেছে। জিরনগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি কমিটির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম এক স্বাক্ষতকারে এ প্রতিনিধিকে জানান রাতের অন্ধকারে ওয়াস ব্লকের ছাদ ঢালাই দিতে নিষেধ করার পরেও তারা আমাদর কথা শুনেনি।যে কারনে ছাদ ঢালাই দেওয়ার পর আকাবাকা হয়ে গেছে। এছাড়া সিমেন্ট, বালির ঘাটতি তো আছেই। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওলিউর রহমান এক স্বাক্ষাতকারে এ প্রতিনিধিকে জানান, এ বছর শার্শা উপজেলার ৩৬টি প্রাইমারী স্কুলে ওয়াশ ব্লকনির্মান হচ্ছে। আদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মসার্স সুমন ট্রেডাস নিজে নির্মান কাজ না করে সাব ঠিকাদার দিয়ে কাজ করায় এ পর্যন্ত২০টি প্রাইমারী স্কুলের এসএমসি কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে র্লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জিরনগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুড়ার ঘোপ, বসতপুর (২নং কলোনী), বেলতা, কাশিপুর, বোয়ালিয়া, আলহাজ্ব সামছুর রহমান, বাগআঁচড়া মাঠপাড়া, মহিষাকুড়া, রামচদ্রপুর, খলিসাখালি, গোগা পূর্ব ডিজিটাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ প্রায় ২০টি প্রাইমারী স্কুলের ওয়াস ব্লক নির্মানের অনিয়ম দূনীতির অভিযোগ উঠেছে, এর মধ্য সুড়ার ঘোপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঢালাই ১৫ ইঞ্চির পরিবর্তে ১২ ইঞ্চি দেওয়া হয়েছে। দেয়াল ১০ ইঞ্চির পরিবর্ত ৫ ইঞ্চি দেওয়া হয়েছে, জিরনগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাতের আঁধারে ছাদ ঢালাই দেওয়ার কারনে ছাদ আকাবাকা হয়ে গেছে,, বসতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেজ ঢালাই দেওয়ার সময় সিলেকশন বালির পরিবর্তে স্থানীয় বালি দেওয়া হয় এবং যথাযথ পানি ব্যবহার করা হয়নি, বেলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাত ১১ টার পরে ছাদ ঢালায় হয়এবং ছাদে পানি দেওয়া হয়নি। বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ দেওয়ার পরে পানি জমিয়ে রাখা হয়নি । গোগা পূর্ব ডিজিটাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাত ১০টার পরে ছাদ ঢালায় দেওয়া হয় ।অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ওয়াস ব্লক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে যা এলাকাবাসীর কাছে প্রকাশ্য ব্যাপার, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুমন ট্রেডার্সের প্রোপাইটার মোহাম্মদ আলমঙ্গীর কবিরকে ফোন দেয়া হলে উনি ফোন রিসিভ করেননি

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়