প্রতিদিনের ডেস্ক:
বিচার বিভাগের রায় ও বিচারকের পদোন্নতি নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের ঘটনায় বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে আজ শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।রোববার (২৬ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।এর আগে গত ১৪ মে তলবের পরিপ্রেক্ষিতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে ক্ষমা প্রার্থনা করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। এছাড়া ভবিষ্যতে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন বলেও লিখিত আবেদনে বলেন তিনি। আদালত এ বিষয়ে এক সপ্তাহ পর আদেশ দেবেন বলে ওইদিন জানান।আদালতে ওইদিন আলালের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।
এর আগে বিচার বিভাগের রায় ও বিচারকের পদোন্নতি নিয়ে মন্তব্য করায় আলালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে তলব করেন উচ্চ আদালত। ১৪ মে তাকে সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ওইদিন আদালতে উপস্থিত হন।রুলে কেন তার (মোয়াজ্জেম হোসেন) বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কার্যধারা গ্রহণ করা হবে না এবং আদালত অবমাননার জন্য কেন তাকে শাস্তি দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।একই সঙ্গে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তার ওই বক্তব্যের ভিডিও লিংক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে আলালের প্রচারিত বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ গত ২৫ এপ্রিল প্রধান বিচারপতির নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী। পরে প্রধান বিচারপতির আদেশ অনুসারে বিষয়টি হাইকোর্টের এ বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। এরপর এ বিষয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট।আদালত বলেন, ভিডিও ক্লিপে আদালত অবমাননাকর মন্তব্য রয়েছে। ওই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি (সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল) সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট বিচারপতি ও পুরো বিচার বিভাগকে অবমাননা করেছেন।সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সম্প্রতি এক টকশোতে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়ে রায় দেওয়ার পর এক বিচারক দেশান্তর হয়েছেন, এখন পর্যন্ত তিনি ফিরতে পারেননি দেশে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যে বিচারক রায় দিয়েছেন, তাকে কেউ চিনত না। কিন্তু তাকে হাইকোর্টে নেওয়া হয়েছে। এদিকে হাইকোর্টের রায়ে খালেদা জিয়ার দণ্ড বাড়িয়ে রায় ঘোষণাকারী বিচারপতিকে আপিল ডিভিশনে নেওয়া হয়েছে।টকশোতে এমন মন্তব্য করার কারণ ব্যাখ্যা করতে তাকে তলব করা হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।