১লা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৫ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

কলকাতায় খুন এমপি আনারের আসন শূন্য ঘোষণা নিয়ে জটিলতা!

প্রতিদিনের ডেস্ক॥
চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে হত্যার শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের এখনো সন্ধান মেলেনি। ফলে তার সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, সংসদের অনুমতি ছাড়া কোনো সংসদ সদস্য ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে কিংবা কোনো সংসদ সদস্য মারা গেলে স্পিকার সংশ্লিষ্ট আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন। কোনো আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের পর কমিশনেরও ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের সন্ধান না মেলা পর্যন্ত ওই আসনটি শূন্য করার বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাচ্ছে না। এ নিয়ে কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বও তৈরি রয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৫ জুন বাজেট অধিবেশন শুরুর দিন কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে ঝিনাইদহ-৪ আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের বিষয়ে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। আমাদের যখন মিটিং হবে তখন এটি নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারবো বলে মনে করি।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ব্যক্তিগত সফরে ভারতে যান আনোয়ারুল আজীম আনার। ১৭ মে থেকে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন তার নিখোঁজের বিষয়ে উত্তর কলকাতার বরানগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আনারের সেখানকার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপর ১৯ মে সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ঢাকায় গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে বাবার নিখোঁজের অভিযোগ দেন।
গত বুধবার (২২ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনার খুন হওয়ার খবর প্রকাশ করা হয়। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৩ মে রাতে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে খুন হন আনোয়ারুল আজীম।কলকাতা পুলিশ এমপি আনারের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এর মধ্যে ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও মরদেহের সন্ধান মেলেনি। এ নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশাও।
এর আগে গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে খুন হন। তারও আগে ২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীতে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তবে তাদের মরদেহ নিয়ে অনিশ্চয়তা না থাকায় সংসদ সচিবালয় যথারীতি সেসব আসন শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করে।
সাধারণত কোনো সংসদ সদস্যের মৃত্যুর এক সপ্তাহের মধ্যেই ওই আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। সংসদ সদস্য মারা গেলে স্পিকার শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেন। সংসদ অধিবেশন চলাকালে মারা গেলে ওইদিনের জন্য অধিবেশন মুলতবি করার রেওয়াজও আছে। কিন্তু এখনো আনোয়ারুল আজীমের মরদেহের সন্ধান না পাওয়ায় তার সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়