১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

দখলমুক্ত মেয়র আনিসুল হক সড়ক, ভোগান্তি কমলো লাখো মানুষের

প্রতিদিনের ডেস্ক॥
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের প্রচেষ্টায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে মেয়র আনিসুল হক সড়ক। দীর্ঘদিন ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের দখলে থাকা ওই সড়ক দখলমুক্ত হওয়ায় কমেছে লাখো মানুষের ভোগান্তি।রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কের একটি তেজগাঁও সাতরাস্তা-রেলগেট সড়ক। কিছুদিন আগেও সেটি ছিল পুরোপুরি ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের দখলে। যতদূর চোখ যেত দেখা যেত সারি সারি ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ দাঁড়িয়ে আছে। ফলে ওই এলাকায় যানজট, বিশৃঙ্খলা ছিল নিত্যসঙ্গী। তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের অক্লান্ত চেষ্টায় পাল্টেছে সেই চিরচেনা চিত্র।সাতরাস্তা থেকে তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত সড়কে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বহু বছরের ট্রাকস্ট্যান্ড ২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর উচ্ছেদ করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র আনিসুল হক।
তার মৃত্যুর পর ফের ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপের দখলে চলে যায় সড়কটি। অথচ মেয়র আনিসুল হক সড়ক দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করছেন। মেয়র আনিসুল হক সড়কটি কারওয়ান বাজার থেকে একদিকে তেজতুরীবাজার, ফার্মগেট ও তেজগাঁও, অন্যদিকে সাতরাস্তা হয়ে মহাখালী, বনানী, গুলশান, নিকেতন, হাতিরঝিল এবং রামপুরার সঙ্গে যুক্ত। ফার্মগেট-তেজগাঁও ঘিরে রয়েছে এক ডজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এছাড়াও জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট, সরকারি ছাপাখানাসহ বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী এবং সাধারণ মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করেন। প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলে এই রাস্তায়। রয়েছে এসেনসিয়াল ড্রাগস, বিজি প্রেস, বিসিকসহ ১০টি কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান। অথচ তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের পার্কিং ক্ষমতা মাত্র ৭০০ যানবাহনের কাছাকাছি।
তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ থেকে জানানো হয়, তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে ধারণক্ষমতার প্রায় ৫ গুণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান রাখা হয়। শুক্রবার ও শনিবার অফিসিয়াল ট্রিপ না থাকায় সব গাড়ি বৃহস্পতিবার রাতে এসে শনিবার পর্যন্ত এখানে অপেক্ষা করে। এছাড়াও ট্রাক, কাভার্ডভ্যানের রুট পারমিট সারা বাংলাদেশ হওয়ায় সারা দেশ থেকেই ট্রাক, কাভার্ডভ্যান এবং পিকআপ রাত ১০টার পর থেকে এই এলাকায় এসে জড়ো হয়।
এ বিষয়ে তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার স্নেহাশীষ কুমার দাস বলেন, সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে কর্মদিবসগুলোতে মেয়র আনিসুল হক সড়ক ভোর ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শতভাগ পার্কিং মুক্ত রাখা হবে।
তিনি বলেন, ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমদের নির্দেশনায় আমরা কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করি। আলোচনা করেই মেয়র আনিসুল হক সড়ক শতভাগ পার্কিংমুক্ত রাখছি। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এবং প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ থেকে আজকের এই অবস্থা ধরে রাখতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শুধু আনিসুল হক সড়কই নয়, ট্রাফিক পুলিশের পরিকল্পনায় রয়েছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার কিছু রাস্তা ওয়ানওয়ে করার। এর মাধ্যমে সামগ্রিক ট্রাফিক ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়