২৪শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৮ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব ছাড়া ইসরায়েলেরও অস্তিত্ব থাকতে পারে না

প্রতিদিনের ডেস্ক:
স্বাধীন ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব ছাড়া ইসরায়েলেরও অস্তিত্ব থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। একইসঙ্গে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।রোববার (২৬ মে) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ও আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।ফয়সাল বিন-ফারহান বলেন, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে খুবেই উদ্বেগের বিষয় হলো ইসরায়েল দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়টি স্বীকারই করে না।’‘আমরা আশা করি, ইসরায়েলের নেতারা বুঝতে পারবেন যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করা শুধু নয় বরং ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একমত হয়ে কাজ করাটা তাদের স্বার্থের জন্যই ভালো হবে।এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ছাড়া তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করবে না। দেশটির সরকারি বার্তা সৌদি প্রেস এজেন্সিতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী মেনে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ছাড়া সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না।সৌদি আরব এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। ২০২০ সালে আব্রাহাম অ্যাকর্ডে সই করে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল উপসাগরীয় প্রতিবেশী বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ওই চুক্তিতে সই করতে রাজি হয়নি সৌদি আরব।মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন রিয়াদকে রাজি করাতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাতেও কোনো ফল আসেনি। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের শাসনাধীন সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছিল।তবে গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর বদলে যায় পরিস্থিতি। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ১৪০ জন প্রাণ হারান। এর প্রতিশোধ নিতে এখনো অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরোচিত আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে এই যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহ পরেই সৌদি আরব জানিয়ে দেয়, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের আলোচনা স্থগিত করেছে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়