কামরুজ্জামান মুকুল, বাগেরহাট
নজীর বিহীন জলোচ্ছাসসহ দীর্ঘ ঘুর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রক্ষা কবজ সুন্দরবন থেকে আরও ৫৭ টি হরিণের এবং ৩ টি শুকরের মৃতদেহ বনবিভাগ উদ্ধার করেছে। এনিয়ে রিমেল আঘাত হানার ৫ দিনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯৬ টি হরিণের এবং ৪ টি শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হর। এসময়ে ১৮ টি আহত হরিণ ও ১ টি অজগর সাপ উদ্ধার করে শুশ্রুষার পর বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সুন্দবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা, কচিখালী, পক্ষীরচর, ডিমের চর, সেলারচর, ও নারকেলবাড়িয়া এলাকা থেকে প্রবল ঘুর্ণিঝড় রিমেলের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্য পর্যন্ত ৯৬ টি হরিণ ও ৪ টি শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। এসময় আহত অবস্থায় উদ্ধার ১৮ টি হরিণ ও ১ অজগর শুশ্রুষার পর বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উচ্চ জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহিনে চলে যাওয়ায় হরিণগুলো ভেসে গিয়ে সাঁতরে কূলে উঠতে পারেনি। এ কারণে হরিণগুলো মারা যেতে পারে বলে ধারণা করছি। ঘুর্ণিঝড় রেমাল’র সময় অত’তপূর্ব জলোচ্ছাস ছিল। এত পানি আর কোনদিন সুন্দরবনে হয়নি। সেই সাথে ছিল দীর্ঘক্ষণ প্রবল বাতাস ও বৃষ্টি। তাই বেশ প্রাণীকূলের ও অবকাঠামোর বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি। তবে বৃক্ষ-গাছপালার খুব বেশী ক্ষতি হয়নি বলে প্রাথমিক জরিপে মনে হচ্ছে। এ পর্যন্ত বাঘের কোন মৃত দেহ পাওয়া যায়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সুন্দরবন থেকে আরও ৫৭ হরিণ ও ৩ শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার: ৫ দিনে ১০০
