নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুজন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে একজনকে গুলি করে এবং অপরজনকে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। তবে যুবলীগ কর্মী মোহাম্মদ আলী জমিজমা বিরোধে খুন হয়েছে-এমনটিই ধারণা জেলা পুলিশের। এ দুটি হত্যায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) মধ্যরাতে যশোরের বাহাদুরপুর এলাকায় গুলি করে আলী হোসেন (৪২) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর তেতুল তলা মোড়ে। নিহত আলী হোসেন বাহাদুপুরের আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ৫ জুন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেলের প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর হয়ে নির্বাচনি প্রচারণা করেছিলেন। পরিবারের দাবি, তা তারই জেরে প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলী হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকের বিজয় উপলক্ষে রাতে এক পিকনিকের আয়োজন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে চার-পাঁচজন যুবক তাকে ধাওয়া করে। এসময় তাকে ধরে এলাকার চিহ্নিত কিলার নবাব এবং তার ভাই সিরাজ গং মাথায় পিস্তর ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বিত্তরা। স্থানীয়রা আলী হোসেনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সুজায়েত জানান, ‘ঘটনাস্থলেই আলীর মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় দুটি ও পায়ে একটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন ছাড়াও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করছে। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’ এর আগের দিন বুধবার সন্ধ্যায় যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া এলাকায় নির্বাচনি সহিংসতায় সাকিব হোসেন (১৮) নামে এক যুবককে সন্ত্রাসীরা ছুরিকাঘাতে আহত করে। আহত সাকিবকে প্রথমে যশোরে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান। তিনি চাঁচড়া মধ্যপাড়া এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে। সর্বশেষ তথ্যমতে, পুলিশ খুনিদের গ্রেফতারে মাঠ চষছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

