অভয়নগর সংবাদদাতা
যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বুধবার সকালে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের মধ্যে আকলিমা খাতুনের (২৩) প্রসূতি সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটে । উপজেলার বগুড়াতলা গ্রামের বাড়ি থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ইজিবাইকে তিনি সন্তান প্রসব করেন। প্রসূতি আকলিমা খাতুন উপজেলার বগুড়াতলা গ্রামের রুবেল সরদারের(২৯) স্ত্রী। প্রসূতি এবং সদ্যোজাত সন্তান সুস্থ আছেন। প্রসুতি নারীর স্বামীর নাম রুবেল সরদার, তিনি পেশায় দিনমজুর। রুবেল-আকলিমা দম্পতির সাত বছরের একটি মেয়ে এবং পাঁচ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। মেয়েটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।
রুবেল সরদার জানান, তার স্ত্রী আকলিমা খাতুন সন্তান সম্ভাবা ছিলেন। বাড়িতে স্ত্রীকে ভালো দেখে আজ বুধবার সকাল পাঁচটার দিকে তিনি মাটি কাটার কাজ করতে যান। সকাল আটটার দিকে বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠেছে। তিনি দেরি না করে কাজ ফেলে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। পরে সকাল ১০টার দিকে একটি ইজিবাইক ভাড়া করে স্ত্রীকে নিয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ইজিবাইকে তার শাশুড়ি এবং অপর একজন নারী ছিলেন। প্রায় ১৪ কিলোমিটার ঘুরে ভৈরব সেতু পার হয়ে সকাল ১১টার দিকে তাদের বহনকারী ইজিবাইকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ফটকের সামনে এসে থামে। এরপর ইজিবাইক থেকে আকলিমাকে নামানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। ঠিক এই সময়ে আকলিমার প্রসব বেদনা তীব্রতর হয়। সাথে সাথে ইজিবাইকে থাকা পর্দা দিয়ে ইজিবাইকের দুই পাশ ঢেকে দেওয়া হয়। ভেতরে থাকা দুই নারী মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে তার নিরাপদ প্রসব করান। এময় একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসূতি বিভাগে খবর দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতলায় অবস্থিত প্রসূতি বিভাগ থেকে দুইজন মিডওয়াইফ নিচে নেমে আসেন। এরপর তারা আকলিমা খাতুন এবং তার সদ্যোজাত সন্তানকে প্রসূতি বিভাগে নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফ নূপুর মজুমদার বলেন, ইজিবাইকের মধ্যে আকলিমা খাতুন পুত্র সন্তান প্রসব করেছেন। মা ও ছেলে সুস্থ আছেন। তারা প্রসূতি বিভাগে আছেন। নিয়মানুযায়ী তাদের ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কোনো সমস্যা না হলে আগামীকাল সকালে তারা ছাড়পত্র দেওয়া হবে।