আব্দুল মোমিন, কেশবপুর
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় সরকারী বেসরকারী স্টেকহোল্ডারদের সাথে ওযাই মুভস প্রকল্প সমাপ্তিকরন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ১১জুন বিকাল ৫টায় পরিত্রাণের কার্যালয়ের হল রুমে পরিত্রাণ এর প্রজেক্ট অফিসার উজ্জ্বল দাসের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। দাতা সহযোগি সুইডিস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি সিডার অর্থায়নে ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর কারিগরি সহযোগিতায় ওয়াই মুভস প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিত্রাণ এর নির্বাহী পরিচালক বিশিষ্ট গবেষক মিলন দাস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তুহিন হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মো: তানভীর হোসেন, কেশবপুর পৌরসভার মাননীয় মেয়র মো: রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান রাবেয়া ইকবাল, কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দুঃস্থ শিশু শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক মোঃ হারুনার রশীদ বুলবুল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো, আলমগীর হোসেন, সমাজসেবা অফিসার আলমগীর হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কেএএমএম জিল্লুর রশিদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রুপালী রানী, সুজন এর কেশবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুনছুর আলী, কপোতাক্ষ মহিলা ও যুব উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক সুফিয়া পারভীন শিখা, সাংবাদিক কামরুজ্জামান রাজু, বিবেকানন্দ শিক্ষা সংস্কৃতি পরিষদের সদস্য অধ্যাপক কুন্তল বিশ্বাস (মিন্টু), বাংলাদেশ দলিত পরিষদ এর কেশবপুর শাখার সভাপতি সুজন দাস। সমাপনী সেমিনারে প্রকল্পের লক্ষিত কার্যক্রম, অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ, সুপারিশ নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন কর্মসূচী সমন্বয়কারী মোঃ রবিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রকল্পটির সম্ভাবনা, স্থায়ীত্ব, করনীয় কি হতে পারে সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা মুলক বক্তব্য প্রদান করেন। প্রকল্পটির এসডিজি বাস্তবায়নে লক্ষমাত্রা ৩ ও ৫ অর্জনে যথেষ্ঠ ভুমিকা রেখেছে বলে সবাই একমত পোষন করেন। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে ইতিবাচক ভুমিকা রেখেছে। প্রকল্পটি স্থায়ীত্বকরনে উপজেলা প্রশাসন কাজ করবেন বলে আশাস্ত করেন সবাইকে। এছাড়াও বিভিন্ন দলিত শিশু, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, অভিভাবক, উন্নয়ন কর্মী, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, সরকারী কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।