১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

এলজিইডি’র হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

খুলনা প্রতিনিধি
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৫২ লাখ ৬৫ হাজার ৮২০ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) হিসাবরক্ষক কাজী আবু হাফিজ ফসিউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১১ জুন) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বাদী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আশাশুনি উপজেলা এলজিইডি’র হিসাবরক্ষক কাজী আবু হাফিজ ফসিউদ্দিন বর্তমানে অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) রয়েছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কাজী আবু হাফিজ ফসিউদ্দিন কর্তৃক কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায়, তিনিবিবরণীতে নিজের ও তার ওপর নির্ভরশীলদের নামে ৭২ লাখ ৪ হাজার ২১০ টাকার স্থাবর ও ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫১৭ টাকার অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার ৭২৭ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। যাচাইকালে কাজী আবু হাফিজ ফসিউদ্দিনের নিজের নামে ও তার ওপর নির্ভরশীলদের নামে ৭২ লাখ ৪ হাজার ২১০ টাকার স্থাবর ও ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৫০৭ টাকার অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৭ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। আসামি কাজী আবু হাফিজ ফসিউদ্দিন কমিশনে দাখিলকৃত বিবরণীতে ১৪ হাজার ৯৯০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪, এর ২৬ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এছাড়া আসামি কাজী আবু হাফিজ ফসিউদ্দিন গত বছরের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা-হ-১১-৫৮৬৬ নম্বর মোটরসাইকেলটি ৭০ হাজার টাকায় নিজের নামে কিনেছেন বলে সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেন। যাচাইকালে উক্ত মোটরসাইকেলের মূল্য ৭৮ হাজার ৩০০টাকা পাওয়া যায়। অর্থাৎ দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৮ হাজার ৩০০ টাকা গোপন করেন। এছাড়া ছেলের নামে একটি মোটরসাইকেল কিনে তিনি সম্পদ বিবরণীতে ১৪ হাজার ৯৯০ টাকার তথ্য গোপন করেন। মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, যাচাইকালে কাজী আবু হাফিজ ফসিউদ্দিনের মোট ৮৯ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৪ টকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। তিনি বিভিন্ন খাতে ৩৪ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৭ টাকা ব্যয় করেন। তার নীট আয় ৫৪ লাখ ২৯ হাজার ৮৯৭ টাকা। কিন্তু তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫২ লাখ ৬৫ হাজার ৮২০ টাকার বেশি সম্পদ পাওয়া গেছে। আবু হাফিজ ফসিউদ্দিন সরকারি চাকরিকালে নিজের পদ পদবী ব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের চেয়ে অসঙ্গতিপূর্ণ উক্ত টাকার সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে নিজে ও নির্ভরশীলদের নামে ভোগ দখলে রেখে দুদক, আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়