১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

ছাত্রী ধর্ষণ: মুশতাক-ফাওজিয়ার অব্যাহতি ও নারাজির আদেশ ৪ জুলাই

প্রতিদিনের ডেস্ক:
রাজধানী মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজটির অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীদকে অব্যাহতির আবেদন ও নারাজির ওপর আদেশের জন্য ৪ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলী এদিন ধার্য করেন।এর আগে রোববার (২ জুন) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে মুশতাক আহমেদ ও কলেজটির অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীদকে প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই।এরপর প্রতিবেদনের ওপর ফের নারাজি দিয়েছেন মামলার বাদী ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। আজ (১৩ জুন) নারাজির আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত নথি পর্যালোচনায় আদেশের জন্য ৪ জুলাই দিন ধার্য করেন।গত ৩ মার্চ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে এ নারাজি দাখিল করেন মামলার বাদী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।গত ১৪ মার্চ খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদীদের অব্যাহতির সুপারিশ করে পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদীর নারাজি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত।ওই শিক্ষার্থীর বাবা ২০২৩ সালের ১ আগস্ট আদালতে মামলাটি করেন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ওসিকে অভিযোগ এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন আদালত।মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা মামলা দায়েরে তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ভিকটিম আদালতে হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন। তাতে তিনি জানান ২০২৩ ২৫ মার্চ তিনি স্বেচ্ছায় ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করেন। বিজয়নগর কাজী অফিসে ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বয়স ১৮ পূর্ণ হলে আসামি মুশতাক তাকে বিয়ে করেন। এক্ষেত্রে ভুক্তভোগীকে কেউ কোনো ধরনের প্ররোচনা দেননি বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভুক্তভোগী) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ভুক্তভোগীকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে নিতেন। খোঁজখবর নেওয়ার নামে আসামি ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন।কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। পাশাপাশি ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবেন বলেও হুমকি দেন মুশতাক।এজাহারে আরও বলা হয়, এ ধরনের আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে (২ নম্বর আসামি) ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন ভুক্তভোগীর বাবা। তিনি (অধ্যক্ষ) ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে আসামি মুশতাককে তার কক্ষে ডাকেন। পরে ভুক্তভোগীকেও ক্লাস থেকে ডেকে এনে কক্ষের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মুশতাককে সময় ও সঙ্গ দিতেন।এ বিষয়ে বাদী ২ নম্বর আসামির (অধ্যক্ষ) কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও তিনি কোনো সহযোগিতা করেননি। বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করতে থাকেন। উপায় না পেয়ে বাদী গত ১২ জুন তিশাকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে তাকে অপহরণ করেন। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি মুশতাক একেক দিন একেক স্থানে রেখে তিশাকে অনৈতিক কাজে বাধ্য এবং যৌন নিপীড়ন করছেন।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়