নিজস্ব প্রতিবেদক॥
ঈদকে সামনে রেখে যশোর শহর যানজট মুক্ত রাখতে যশোর ট্রাফিক পুলিশ কঠোর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আর এ জন্য আগে থেকেই ট্রাফিক পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যশোর পৌরসভার সহায়তায় শহরে ভারি যানবাহন প্রবেশে শহরের মুখে ব্যরিকেট দেওয়া হয়েছে। শহরের বড় বাজারে প্রবেশ মুখে রিক্সা, ভ্যান যাতে ঢুকে যানজট সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য পৌরসভার সহায়তায় বড় বাজারে প্রবেশের মুখে লোহার ব্যারিকেট ফেলা হয়েছে। গোটা শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজট মুক্ত রাখতে দিনরাত ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা ও সদস্যকে মাঠে নামানো হয়েছে। যশোর ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে ঈদে যশোর শহরের বিভিন্ন সড়ক যানজট মুক্ত রাখতে ইতোমধ্যে রিক্সা, ভ্যান ও যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা হিসেবে বাজারে প্রবেশের মুখে লোহার তৈরি ব্যারিকেট ফেলা হয়েছে। যশোর পৌরসভার সহায়তায় যশোর শহরের পালবাড়ি, মুড়লী মোড়, চাঁচড়া বাজার, চাঁচড়া চেকপোস্ট, খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ যে সড়ক দিয়ে শহরে প্রবেশ করা যায় সে সড়কের মুখে ব্যারিকেটের পাশাপাশি যশোর পৌরসভার কমিউনিটি পুলিশ ঈদ উপলক্ষে দিন-রাত ডিউটি করবে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশের সঙ্গে জেলা পুলিশের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা ও সদস্য গোটা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টেরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে রিক্সা, ভ্যান, মোটরসাইকেল ও ছোটখাটো যানবাহন চলাচলে দায়িত্ব পালন করেছেন। যাতে শহরে যানজট সৃষ্টি না হয়।যানজট নিরসনে প্রতিনিয়ত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট, টিএসআই, এটিএসআই, কনস্টেবল অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বলে ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মাফুজুর রহমান জানান। তিনি বলেন, ঈদে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা সাধারণ যাতে যানজটে পড়ে ভোগান্তির শিকার না হয় তার জন্য ট্রাফিক বিভাগে কর্মরতরা সোচ্চার। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের ২০ এর অধিক টিম পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যশোর ট্রাফিক বিভাগের (শহর ও যানবাহন ) ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শুভেন্দু মুন্সি বলেন, ঈদুল আযহাতে যাতে ক্রেতা সাধারণ ও ব্যবসায়ীরা শান্তিতে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন তার জন্য জেলা যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার যে নিদের্শনা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে জেলায় কর্মরত পুলিশের ইউনিটগুলো সমানভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।