নড়াইল সংবাদদাতা॥
নড়াইলের একটি আবাসিক হোটেলে পুলিশ সদস্য ইমদাদুল ইসলামের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে নড়াইল সদর থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন আহত ইমদাদুলের বাবা বজলেয়ার রহমান মল্লিক। এতে আসামি করা হয়েছে আসামির তালাক দেওয়া দ্বিতীয় স্ত্রী ডলি খানমকে। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে যশোরে কর্মরত থাকা অবস্থায় ইমদাদুলের পরিচয় হয় ডলি খানমের সঙ্গে। ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তাদের সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে। পারিবারিক কলহের জেরে পরের বছর ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইমদাদুল তার দ্বিতীয় স্ত্রী ডলিকে তালাক দেন। পরে ডলি ইমদাদুলের বিরুদ্ধে যশোরের আদালতে দুটি মামলা করেন। ইমদাদুলও ডলির বিরুদ্ধে নড়াইল আদালতে মামলা করেন। গত সোমবার (১০ জুন) যশোর আদালতে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ডলির করা মামলার হাজিরার দিনে আদালত চত্বরেই দুই জনের মধ্যে ৩ লাখ টাকা চুক্তিতে মামলা নিষ্পত্তির আলোচনা হয়। পরদিন মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে নিরিবিলি স্থানে কথা বলার জন্যেই নড়াইল পৌর এলাকার আলাদাতপুরে একটি আবাসিক হোটেলে প্রবেশ করেন তারা। সেখানে সুযোগ বুঝে ডলি ইমদাদুলের বিশেষ অঙ্গে ব্লেড দিয়ে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ইমদাদুলকে প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতাল ও পরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। পুলিশ সদস্য ইমদাদুল ইসলামের বাবা বজলেয়ার রহমান মল্লিক বলেন, ‘আমার ছেলের অপারেশন হয়েছে। সে এখন পর্যন্ত শঙ্কা মুক্ত নয়।’ মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তার চিকিৎসার জন্য ছোটাছুটি করতে গিয়ে এবং কর্মস্থলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনার অপেক্ষার জন্য মামলা করতে দেরি হয়েছে।’