প্রতিদিনের ডেস্ক:
ফ্যাশন দুনিয়ায় নানা রকম কাপড়ের উদ্ভব হয়েছে। সবাই যার যার পছন্দ অনুযায়ী কাপড় কিনে থাকেন। পোশাক পরিধানের পর তার যত্নও নিতে হয়। কাপড় পরিষ্কার করতে গিয়ে অনেকে নষ্ট করে ফেলেন। যে কারণে আগেই জেনে নেওয়া উচিত, কোন ধরনের কাপড় কীভাবে পরিষ্কার করতে হয়। সুতিসুতি কাপড় সাবান দিয়ে ঠান্ডা পানিতে হাতে পরিষ্কার করুন। দীর্ঘ সময় ধরে কাপড় পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন না। কাপড় শুকানোর জন্য ছায়াযুক্ত স্থান ব্যবহার করুন। রঙিন কাপড় আলাদা ভাবে ধুয়ে নিন। সাধারণত মেরুন, লাল, বেগুনি, ম্যাজেন্টা, কমলা, গাঢ় নীল, গাঢ় সবুজ এবং ফিরোজা রঙের কাপড় থেকে রং ওঠার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভেজা অবস্থায় কখনোই হালকা রঙের কাপড়ের সাথে গাঢ় রঙের কাপড় রাখবেন না।কাপড় ধোয়ার আগেই রঙের দৃঢ়তা পরীক্ষা করার জন্য এক কাপ পানিতে কাপড়ের একটি কোণা ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। যদি রং ওঠে তবে একটি বালতিতে ঠান্ডা পানির সাথে ৫ টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে একটি দ্রবণ তৈরি করে নিন এবং পোশাকটি ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এটি রঙের দৃঢ়তা নিশ্চিত করবে।সুতি, লিনেন এবং রেয়নের সংমিশ্রণ সুতি, লিনেন অথবা রেয়ন সুতার মিশ্রণ সম্পন্ন সুতা দিয়ে তৈরি করা কাপড়সমূহ নানা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হয়। ফলে ক্ষেত্র বিশেষে কাপড় সংকুচিত হওয়ার প্রবণতাও ভিন্ন হয়। কাপড়ের সঠিক মাপ এবং রঙের দৃঢ়তা বজায় রাখতে কেনা পোশাকটি ড্রাই-ওয়াশ করুন। এ ধরনের কাপড় হাতে ওয়াশ করা যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে কাপড় থেকে রং ওঠার সম্ভাবনা আছে।সিল্ক এবং মসলিন ভারী টেক্সচার সম্পন্ন ধুপিয়ান সিল্ক, রাজশাহীর প্রসিদ্ধ সিল্ক, ঢাকার বিখ্যাত মসলিন এবং এন্ডি সিল্ক সবই নিখুঁত রেশম সুতা দিয়ে বোনা হয়। এ ধরনের কাপড়ের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। আর্দ্রতা কাপড়ের রং, উজ্জ্বলতা এবং গুণগত মান নষ্ট করে। অতএব সিল্ক পোশাকটি শুকনো ও পরিষ্কার স্থানে সংরক্ষণ করুন। কাপড়ের গুণগত মান বজায় রাখতে অবশ্যই ড্রাই-ওয়াশ করুন।জরি যেসব কাপড়ে জরি সুতার বুনন আছে, তা অবশ্যই ড্রাই-ওয়াশ করুন। হাতে ওয়াশ করলে জরি সুতার উজ্জ্বলতা কমে যায় এবং সেই সঙ্গে কাপড়ের বুনন শিথিল হয়ে যেতে পারে।জামদানিজামদানি হলো কার্পাস তুলা দিয়ে তৈরি এক ধরনের বস্ত্র, যার বয়ন পদ্ধতি অনন্য। এই জামদানি কাপড় অবশ্যই ড্রাই-ওয়াশ করতে হবে।