প্রতিদিনের ডেস্ক॥
‘সব তো শেষ হয়েই গেছে, তাই যা আছে তাই নিয়ে লড়াই করতে হবে’- তুরস্কের বিপক্ষে এবারের ইউরো টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নামার আগে চেক প্রজাতন্ত্র যেন এমন পণ করেই নেমেছিল। কেননা শেষ ষোলোতে যেতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হতো তাদের। এমন চাপের ম্যাচে তাই একটি অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডও করে বসলো তুরস্ক ও চেক প্রজাতন্ত্রের ম্যাচটি। এই ম্যাচে ফুটবলাররা খেলার থেকে কে কাকে বেশি মারবে সেটিতেই যেন ব্যস্ত ছিল বেশি। রেফারিও কম যাননি। তুরস্ক ও চেকের খেলোয়াড়দের ১৮টি হলুদ কার্ড ও ২টি লাল কার্ড দেখাতে বাধ্য হন। ইউরো টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এত কার্ড দেখা যায়নি কোন ম্যাচে। খেলার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল, রোমানিয়ান রেফারি ইস্তেভান কোভাকস প্রতি মিনিটে মিনিটে কার্ড দেখাচ্ছেন। এত কার্ড দেখে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস ও আর্জেন্টিনার ম্যাচের কথা মনে হচ্ছিলো সবার। ওই ম্যাচে রেফারি ১৮টি কার্ড দেখিয়েছিলেন। যা বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ কার্ডের রেকর্ডও বটে। বুধবার রাতে চেক প্রজাতন্ত্রকে ৭টি হলুদ কার্ড ও ২টি লাল কার্ড দেখান তিনি। অন্যদিকে তুরস্কের খেলোয়াড়দের ১১টি হলুদ কার্ড দেখান। এর আগে ইউরোয় ১৯৯৬ সালে দুই ম্যাচে, ২০০০ সালে এক ম্যাচে এবং ২০১৬ সালের ইউরো ফাইনালে সর্বোচ্চ ১০টি কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারিরা, যা ছিল গতকালের পর্যন্ত রেকর্ড। সেই রেকর্ডকে ভেঙে দিল তুর্কি ও চেক প্রজাতন্ত্র ম্যাচ।