১৬ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৩০শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

শৈলকুপা থানায় হামলা মামলায় মেয়রের ছেলে গ্রেফতার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি॥
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আসামি ছিনিয়ে নিতে থানা পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৌরসভার মেয়রের ছেলে কাজী রফিকুল আশরাফ রাজীবকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) উপজেলা শহরের চৌরাস্তা মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে হামলার ঘটনায় ওই দিন রাতেই ১১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের উপপরিদর্শক লাল্টু রহমান মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই মামলাটি নিষ্ঠার সঙ্গে তদন্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্তের একপর্যায়ে শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের ছেলে কাজী রফিকুল আশরাফ রাজীবের বিরুদ্ধে থানায় হামলার সম্পৃক্ততা এবং নেতৃত্বের সত্যতা পাওয়া যায়। ফলে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার শৈলকুপা শহরের চৌরাস্তা মোড় থেকে রাজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’ গত ৯ জুন শৈলকুপা উপজেলার ধাওড়া গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক শিকদারকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে শৈলকুপা থানা–পুলিশ। এ ঘটনায় আসামিকে ছিনিয়ে নিতে কয়েক শ লোক থানা ঘেরাও করে ইট–পাটকেল ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। প্রায় আধঘণ্টা চলা এ হামলায় পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন সদস্য আহত হন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন বেশ কয়েকজন। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, ঢাকার রাজারবাগসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই দিন রাতেই ১১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে পৌর মেয়র আশরাফুল আজম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘থানায় হামলার ঘটনায় আমার ছেলেকে নিয়ে সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা কথা বলছে তারা। তারা এর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবে না, এমনকি প্রমাণও করতে পারবে না। যে থানায় হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্বে ছিল আমার ছেলে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলের নাম ফলানোর জন্য এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে আসামিরা প্রথমে ধরা পড়েছিল, তাদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপকভাবে টর্চার করা হয়েছে। এমনকি জোরপূর্বক তাদের দিয়ে আমার ছেলের নাম বলানো হয়েছে। এটা মোটেই ঠিক না।’

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়