প্রতিদিনের ডেস্ক:
নির্যাতিত ব্যক্তি এবং নির্যাতনে নিহত ব্যক্তির পরিবারের জন্য রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিস ব্লাস্ট।বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) গণমাধ্যমে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিস ব্লাস্টের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।বাংলাদেশের সংবিধানে সব ধরনের নির্যাতন এবং অমানবিক সাজা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইন ও আদালতের বেশ কিছু রায় পেলেও বাস্তব চিত্র এর বিপরীত। হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু (নিবারন) আইনটি ২০১৩ সালে প্রণীত হলেও এই পর্যন্ত প্রায় ১১ বছরে এই আইনের আওতায় গুটিকয়েক মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে আইন প্রণয়নের প্রায় ৭ বছর পর গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে দেশে সর্বপ্রথম এই আইনের আওতায় পুলিশি হেফাজতে ইশতিয়াক হোসেন জনির মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার রায় প্রকাশ পায়।গত ২০১৪ সালে রাজধানীর পল্লবী থানায় পুলিশের হেফাজতে ইশতিয়াক হোসেন জনির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারন আইনের অধীনে জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি আদালতে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাত বছর পর গত ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকার দায়রা জজ আদালতে দায়ের হওয়া মামলায় তিন পুলিশ সদস্যের যাবজ্জীবন এবং অপর দুই জনের সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশও দেওয়া হয়েছে।সুুপ্রীমকোর্টের বিশিষ্ট সিনিয়র আইনজীবী এবং ব্লাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জেড আই খান পান্না বলেন, নির্যাতনের শিকার সব ব্যক্তির আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। যেকোনো নির্যাতনের শিকার হয়ে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার পরিবারের যে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তা কোনোভাবেই টাকার অঙ্কে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। সেজন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের পাশাপাশি আইনগত সুরক্ষা প্রদান এবং অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।