অভয়নগর সংবাদদাতা॥
যশোরের অভয়নগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে একই পরিবারের ১ জনকে কুপিয়ে ও ৩ জনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে উপজেলার বুইকারা গ্রামে খালেক হাওলাদারের বাড়ির সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ৪ জনের মধ্যে ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছ। গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মো.মোশারেফ হোসেন বাদী হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত হামলাকারি ৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে অভিযোগকারি মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুইকারা গ্রামের মৃত দরবেশ আলী হাওলাদারের ছেলে খালেক হাওলাদার, মৃত মালেক হাওলাদারের জামাই মিল্টন হাওলাদার, সুজন, মৃত বারেক হাওলাদারের ২ ছেলে সোহান ও সুমন, মোসলেম উদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসহকারে আমার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার (২৮ জুন) রাত ৭ টার দিকে উল্লেখিত হামলাকারিরা আমার ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে মানিককে একা পেয়ে খালেক হাওলাদারের বাড়ির সামনে রাস্তার উপর কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় রবিউলকে বাঁচাতে আমার ছোটভাই ওহিদুল ইসলাম ওরফে কালু ও তাঁর স্ত্রী রেশমা বেগম এবং আমার মেয়ে মাকছুদা খাতুন এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। এক পর্যায়ে হামলাকারিরা রেশমা বেগমের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন (যার মূল্য প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নিয়ে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে ওহিদুল ইসলাম ওরফে কালু ও তাঁর স্ত্রী রেশমা বেগম এবং আমার মেয়ে মাকছুদা খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে আমার ছেলে রবিউল ইসলামের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করিয়ে নেন। আহত ওহিদুল ইসলাম ওরফে কালু ও তাঁর স্ত্রী রেশমা বেগম এবং মাকছুদা খাতুন বলেন, হামলাকারিরা প্রভাবশালি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলেনা। তবে সুবিচার পাওয়ার আশায় এবার অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আশাকরি সঠিক তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করবে পুলিশ। এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, মারপিটের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একজন এসআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের পর পরবর্তী করণীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।