প্রতিদিনের ডেস্ক:
নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে ‘বজলুর রহমান স্মৃতিপদক ২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।প্রধান বিচারপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অবিনশ্বর চেতনার মাপকাঠিতে সমকালীন ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঈর্ষণীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠের যে অসীম তৃষ্ণা ও জাদুঘর ছড়িয়ে দিতে পেরেছে তাতে করে আমরা আশাবাদী হই। সাহস পাই পরাজিত শক্তিরা যতই ষড়যন্ত্র করুক, এ মাটির বুক থেকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, শহীদের রক্তবিন্দুকে মুছে ফেলা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অনন্তকাল আমাদের হাত ধরে থাকবে, পথ দেখিয়ে যাবে।সাম্প্রতিক সময়ে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্নের আগেই মিডিয়া ট্রায়ালের সংস্কৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ব্যক্তি উদ্যোগে নিয়ন্ত্রিতহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ক্ষেত্রে সবার সচেতনতা প্রয়োজন।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতায় বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০২৩ (ইলেকট্রনিক মিডিয়া) পেয়েছেন চ্যানেল আইয়ের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট লায়লা নওশীন। প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে যুগ্মভাবে পুরস্কার পেয়েছেন ভোরের কাগজের ঝর্ণা মনি ও ডেইলি স্টারের আহমাদ ইসতিয়াক।পুরস্কার পাওয়া প্রতিবেদন বিষয়ে ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নারীর অংশগ্রহণ সশস্ত্রযুদ্ধে গুরুত্ববহ না হলেও সাংগঠনিক, চিকিৎসাসেবা ও সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। দীর্ঘ সামরিক শাসনের অধীনে থাকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চায় সামরিক ইতিহাস প্রাধান্য পাওয়ায় জনইতিহাস উপেক্ষিত হয়, ফলে নারীর অবদান এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন দাবি করে। প্রতিবেদন তৈরিতে প্রতিবেদককে দীর্ঘ সময় ব্যয় করে বিভিন্ন দলিলপত্র, ছবি ও মানবীয় সোর্স থেকে রসদ সংগ্রহ করতে হয়েছে; রিপোর্ট তৈরির জন্য প্রতিবেদকের এই পরিশ্রমসাধ্য কাজ বিচারকদের কাছে প্রশংসনীয় বলে বিবেচিত হয়েছে।