সৈকত হোসেন॥
যশোরের বাজারে পক্ষকালের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকায় ছুঁয়েছে। কাচা মরিচের কেজি আড়াইশ টাকায় উঠে সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫০ টাকায় নেমেছে। ১৫দিন আগেও পেঁয়াজের কেজি খুচরা দর ছিল ৬০ টাকা। একই সময়ে আলুর কেজি ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। উর্ধ্বদামে অপরিবর্তিত আছে রসুন, শুকনো ঝাল, চাল, ডাল, ভোজ্য তেলের। সবজির বাজারে তাপ ছড়াচ্ছে বেগুন, কচুরমুখি। তবে পুঁইশাক, ধেড়স, পটল ও শাক-সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এনিয়ে খুচরা বিক্রেতারা নানা প্রশ্নের মুখোমুখি যেমন হচ্ছেন, তেমনি কমেছে বেচাবিক্রি। এনিয়ে ভোক্তা মহল ক্ষোভের আগুনে পুড়ছেন। অনেকেই বলছেন চাষী দাম পায় না, কৃষকের ঘাম বেচে কোটিপতি বনে যাচ্ছে অসাধু সিণ্ডিকেট চক্র। শহরের বড় বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আলু ও পেঁয়াজের দাম কেন বেড়েছে এবং প্রতিদিনই কেন বাড়ছে-তা জানা নেই খুচরা বিক্রেতাদের। তবে বৃষ্টিতে ক্ষেত পানিতে ডুবে যাওয়ায় মরিচ বেশকিছু দিন ঝাঁজ ছড়িয়েছে। এখন ২৫০ টাকা থেকে নেমে ১৫০ টাকায় ঠেকেছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। রসুনের কেজি ২০০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আমদানিকৃত রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। ৪০/৪৫ টাকা কেজির আলু ঠেকেছে ৫৫ থেকে ৬০ টাাক। প্রতি কেজি কাচামরিচ বিক্রি হচ্ছে। সবজির দামের কোন পরিবর্তন হয়নি। তবে বেগুন এখনো জাত ভেদে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা বিক্রি করছে খুচরা বাজারে। ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে টমেটো। প্রতি কেজি উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে শুরু করে ৮০ টাকা। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বরবটি। প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কুমড়া। প্রতি কেজি ঝিঙে ও কুশি বিক্রি হচ্ছে ৪০/৫০ টাকা পর্যন্ত। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে ঢেড়স। প্রতি কেজি পুইশাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে করোলা উচ্ছে। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি। মুখিকচুর কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে। ভোক্তারা জানান-যশোরের বাজারে সবজির দাম সকাল-বিকেল ও রাতে ওঠা-নামা করে।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১৯৯ টাকা। বাজার ও গ্রাম মহল্লা ভেদে ১৬৫ টাকা থেকে ২০০ টাকা টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল। বাজারে চালের দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হয় ৫২ টাকা থেকে ৫৩ টাকা। ৫৫ টাকা থেকে ৫৭ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কাজললতা। মোটার চালের কেজি ৫০ টাকার নিচেই নেই। মিনিকেট নামে পরিচিতি পাওয়া মোটা চাল কেটে পালিশ করা সরু চাল ৬৫ টাকা দরে কেজি কিনতে হচ্ছে। বাঁমমতির সিল মারা ২৫ কেজির বস্তার দাম উঠেছে ১৯৫০ টাকা থেকে ২১০০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে মাছ মাংশের দাম কমেনি। প্রতি কেজি বড় ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০’ টাকা থেকে ৩০০০ হাজার’ টাকা। ১৩০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়া মাছ। প্রতি কেজি রুই-কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে (ওজন ভেদে) ২২০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে মৃগেল মাছ। প্রতি কেজি সিলভার কার্প মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা। ঘেরে উৎপাদিত ২৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে চাষের শিং মাছ। ঘেরের কই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। তবে বিলে উৎপাদিত সব মাছের দুস্প্রাপ্যতা রয়েছে। যেকারণে দাম আকাশ ছোঁয়া। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ২০০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা। ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে সোনালী মুরগী। লেয়ার ও কক মুরগির দাম প্রায় কাছাকাছি। সাড়ে ৫শ’ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি কিনতে হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। ১০০০ টাকা থেকে সাড়ে ১১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে ছাগলের মাংসের দাম। বাজারে সব রকমের ডালের বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। ১শ’ টাকা কেজির মুগডাল ২৪০ টাকায় ঠেকেছে। ভোক্তা মহলের অভিযোগ বাজারে মনিটরিং নেই। খুচরা বিক্রেতারাও অসহায়। অসাধু অধিক মুনাফাখোর সিণ্ডিকেট ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে-খুশি মতো দাম বাড়িয়েই চলেছে কিন্তু কেন-তার কোনো সদুত্তোর নেই।