২১শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৫ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

কেশবপুরে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন

আব্দুল মোমিন, কেশবপুর
কেশবপুর (যশোর) বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। ২৯ জুন শনিবার সকাল ১০ টায় এ উপলক্ষে কবির জন্মভূমি কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কেশবপুর শাখার পৃষ্ঠপোষকতায় মধুসূদন একাডেমির পক্ষ থেকে মধুসূদনের আবক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি, মধুগীতি পরিবেশনসহ মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার প্রদান করা হবে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতার আলিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি কেশবপুরের কপোতাক্ষ নদ পাড়ের সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি জমিদার বাবা রাজনারায়ন দত্ত ও মা জাহ্নবী দেবীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৫৩ সালে তিনি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করলে তখন থেকে তাঁর নামের সঙ্গে ‘মাইকেল’ যুক্ত হয়। তিনি ‘পদ্মাবতী’ নাটক, ‘একেই বলে সভ্যতা’ ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ নামের দুটি প্রহসন, ‘মেঘনাদবধ কাব্য’, ‘ব্রজাঙ্গনাকাব্য’, ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক, ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ ও ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ রচনা করেন। বাংলা সাহিত্যে গাম্ভীর্যপূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক তিনি। মহাকবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মধুসূদন একাডেমির পরিচালক কবি ও মধুসূদন গবেষক খসরু পারভেজ।  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুহিন হোসেন। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন মিদ্দে। এবার মধুসূদনচর্চা ও গবেষণায় ‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত: সময় ও শিল্প’ গ্রন্থের জন্য ‘মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার-২০২৩’-এ মনোনীত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহেল রাজিব। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মধুসূদন একাডেমির উদ্যোগে সাগরদাঁড়িতে কবির আবক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি, মধুগীতি পরিবেশনসহ মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়