২০শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

পেঁয়াজ ডিম ও আলুর বাজার অস্থির, কাঁচা ঝালও কেনার উপায় নেই!

খুলনা প্রতিনিধি॥
কোরবানির ঈদ মৌসুমের মধ্যে এবার কাঁচা মরিচের দাম ৩০০ টাকা ছুয়েছিল। ঈদ গেলেও দাম তেমন একটা কমেনি। ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হওয়া ঝাঁল কিনতে পারছেন না নিম্নবিত্ত মানুষ। এর চেয়েও খারাপ অবস্থা আলু, ডিম ও পেঁয়াজের। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০/১৫ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। আলুর দাম এখনও ৬০ টাকা কেজি। আর গরীবের আমিষের অন্যতম উৎস ডিমও পাতে জুটছে না। শুক্রবারও প্রতি হালি ডিম ৫০/৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের পর হঠাৎ করে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ কমে যায়। এছাড়া বিয়েসহ সামাজিক অনুষ্ঠান বেড়ে গেছে। বাজারে চাহিদা বেশি এবং সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। বিক্রেতারা জানান, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় কাঁচা মরিচের দাম ঈদের সময় ৩০০ ছাড়িয়ে ছিল। শুক্রবার বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি। অথচ এক মাস আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচে ১০০ টাকার বেশি দাম বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রান্নাঘরের নিত্যদিনের পণ্য পেঁয়াজ ও আলুর দামও অস্থির। বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজই বেশি বিক্রি হয়। ঈদের আগে পাইকারিতে ৭৫-৮০ টাকা কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল; এখন দাম আরও বেড়েছে। শুক্রবার খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দর ছিল ৯০ টাকা। কোনো কোনো বাজারে এর চেয়ে বেশি দরেও পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। আলুর ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যায়। ঈদের আগপর্যন্ত খুচরা বাজারে আলুর কেজি ছিল ৭০ টাকা। তবে ঈদের পর দাম কিছুটা কমে ৬০ টাকা হয়েছে। সেই দামও নিম্নবিত্ত মানুষের ক্রয় ক্ষমতার সঙ্গে মিলছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজ, আলুর দাম কমবে। সব পণ্যের উর্ধ্বগতির মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে ডিমের বাজার এখনও অস্থির। শুক্রবার ফার্মের বাদামি রঙের মুরগীর দাম প্রতি হালি ৫০/৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়