১৮ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ২রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

তোতা পাখির বাজে কথায় অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

প্রতিদিনের ডেস্ক॥
আমরা অনেক সময়ই হুবহু কথা শুনলেই মন্তব্য ছুঁড়ে দেই, ‘তোতা পাখির মতো মুখস্থ’ বলা হচ্ছে। এজন্য কারণও রয়েছে, যেসব পাখি কথা বলতে পারে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো তোতা পাখি। পালকের সঙ্গে আশপাশের মানুষের বলা কথা বেশ ভালো করেই মুখস্থ করে বলতেও পারে তোতাপাখি। আর পাখিটির এমন গুণের কারণে মহাবিপদে পড়েছে যুক্তরাজ্যের একটি চিড়িয়াখানা। সেখানকার একটি বড় খাঁচার মধ্যে তোতা পাখিরা সারাক্ষণ অশালীন কথা বলে, এতে তিক্তবিরক্ত কর্তৃপক্ষ। কারণ, বিষয়টি নিয়ে চিড়িয়াখানায় আসা অনেক দর্শনার্থী অভিযোগও জানিয়েছেন। অনেকেই পাখির মুখে কথা শুনতে ভালোবাসেন। সেই কারণে ছুটে যান তোতা পাখিদের কাছে। চিড়িয়াখানার স্বেচ্ছাসেবকরাও তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু এমনও কয়েকটি তোতাপাখি রয়েছে যারা মুখ খোলা মানেই খারাপ কথা বলা। খারাপ বলতে এতটাই খারাপ যে, সাধারণ মানুষকে কানে আঙুল দিতে হবে। শ্লীলতার সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া খারাপ কথা। আর এই তোতাপাখিদের নিয়ে বিপদে পড়ে যুক্তরাজ্যের একটি চিড়িয়াখানা। প্রথমে তাদের বেছে আলাদা করে অনেকটা নির্বাসনের মত করে রাখা হয়। সর্বসমক্ষে আসতে দেওয়া হয় না। তারপর তাদের শেখানোর চেষ্টা হয় সঠিক শব্দ বলানো।এবার ওই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ অন্যান্য কথা বলা পাখিদের সঙ্গে সেসব দুষ্টু তোতাদের রেখে তাদেরকে ভাল কথা ও সহবৎ শেখানোর চেষ্টা করছে। যদিও তাতে ঝুঁকিও আছে। কারণ তাদের খারাপ কথা বলার প্রবণতা অন্য পাখিদের মধ্যে সংক্রমিত হতেও পারে। তবে এখনও তেমনটি নাকি ঘটেনি। এদিকে চিড়িয়াখানায় কিন্তু দেখা গেছে যে পাখিরা খারাপ কথা বলছে তাদের দেখতেই বেশি ভিড় জমছে। সব মিলিয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এখন এই পাখিদের খারাপ কথা বলার প্রবণতা ছাড়াতে উঠে পড়ে লেগেছে। চাইছে অন্য খারাপ কথা বলা পাখিদেরও এভাবে শুধরে দিতে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু কিছু তোতা পাখি আছে যারা অশালীন আর বাজে শব্দ খুব দ্রুত শিখতে পারে। বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন, যারা তোতা পাখিদের খারাপ কথা শেখানোর চেষ্টা করেন। আর সেসব দুষ্টু দর্শনার্থীদের কারণেই নষ্ট হচ্ছে কিছু তোতা পাখির চরিত্র।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়