১৯শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

ইসরায়েলি র্ববরতা

প্রতিদিনের ডেস্ক॥
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার গাজা সিটিতে মধ্যযোগীয় বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ঘরে ঘরে ঢুকে হামাস সদস্যদের খোঁজার কথা বলে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের গুলি করে হত্যা করছে। এরই মধ্যে সবচেয়ে নৃশংসতম ঘটনা। চিকিৎসার কথা বলে এক ফিলিস্তিনি নারীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ট্যাংকের নিচে ফেলে পিষে হত্যা করে। খবর আরব নিউজের। ছেলের সামনে মাকে পিষে মাকে দখলদার ইসরায়েলের একটি ট্যাংক। গত বৃহস্পতিবার ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউরো-মেড। সংস্থাটি বলেছে, ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা সাফিয়া হাসান মুসা আল-জামালের বাড়িতে ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালায়। এতে তিনি আহত হন। এরপর তার ওপর দিয়ে চালিয়ে দেয়া হয় ট্যাংক। সাফিয়ার ছেলে মুহান্নাদ আল-জামাল এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। মুহান্নাদ বলেছেন, ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটির সেজায়াতে প্রবেশ করে। ইসরায়েলিদের গুলি ও বোমা থেকে বাঁচতে তার মা, তিন বোন ও তাদের সন্তানরা ভবনের নিচ তলায় চলে আসেন। এরপর সন্ধ্যার পর ইসরায়েলি সেনারা তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে ঢুকেই ব্যাপক গোলাগুলি শুরু করে তারা। এছাড়া বোমাও নিক্ষেপ করে। এতে মুহান্নাদ এবং তার মা আহত হন। মুহান্নাদের বোন আরেজি মানবাধিকার এই সংস্থাটি জানিয়েছেন, তাদের মাকে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এক নারী সেনা। এরপর বলা হয় তাদের মাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।
মুহান্নাদ জানিয়েছেন, এরপর তাকে এবং তার মাকে ট্যাংকে করে নিয়ে যাওয়া হয় মুস্তাহা চত্বরে। সেখানে নিয়ে গিয়ে তার মাকে রাস্তায় শোয়ানো হয়। এরপর তার ওপর দিয়ে চলে যায় একটি ট্যাংক। ভয়াবহ সেই ঘটনার কথা মনে করে মুহান্নাদ বলেন, যখন আমি এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করি আমার মনে হয়েছিল আমি পাগল হয়ে গেছি। আমি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করি। সেখানে তখন গোলাগুলি শুরু হলে আমি পালিয়ে যাই।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়