১৯শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

যশোরে এইচএসসি পরীক্ষায় আব্দুর রাজ্জাক কলেজে ফোনসহ কক্ষ পরিদর্শক কাইছার পারভীন ধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে কক্ষ পরিদর্শক তরফদার কাইছার পারভীনের কাছে মোবাইল পাওয়া নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) ভিজিলেন্স টিম ও ট্যাগ অফিসার মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রের সচিব ও কলেজ অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেনকে নির্দেশ দেন। তিনি বেশকিছু শিক্ষার্থীকে সহযোগীতা করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার এই অনৈতিক কাজে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক সালাহউদ্দীন মাহমুদ সহযোগীতার করেছেন চাউর হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত কাইছার পারভীন মুঠোফোনে কথা বলতে চাননি। তিনি কলেজে দেখা করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে অনুরোধ করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, রোববার ডা.আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে ৩০৭ নং কক্ষে কর্তব্য পালন করছিলেন কলেজের গার্হস্থ্য বিজ্ঞানের শিকক্ষ তরফদার কাইছার পারভীন ও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক সালাহউদ্দীন মাহমুদ। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে তরফদার কাইছার পারভীন পরীক্ষা পাশের একটি কক্ষে গিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাইরে প্রশ্নপত্র পাঠানো ও উত্তর সংগ্রহ করে কিছু পরীক্ষার্থীকে সহযোগীতা করছিলেন। হঠাৎ কলেজে ভিজিলেন্স টিম ও ট্যাগ অফিসার ঐ কক্ষ পরিদর্শনে যান। তখন তরফদার কাইছার পারভীনের এমন কর্মকান্ড দেখে তাকে হাতে-নাতে ধরে কেন্দ্রের সচিব ও কলেজ অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব ও কলেজ অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেন জানান, তরফদার কাইছার পারভীনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। তিনি বলেন-ভিজিলেন্স টিম ও ট্যাগ অফিসারের নিদের্শনা অনুযায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিকক্ষ তরফদার কাইছার পারভীনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি। সোমবার কলেজে এসে তার সাথে দেখা করতে বলেন সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে। শিক্ষাবোর্ডের ভিজিলেন্স টিমের সদস্য মোহাম্মাদ আতিয়ার রহমান জানান, কক্ষ পরিদর্শনে গিয়ে কর্তব্যরত শিক্ষক তরফদার কাইছার পারভীনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিবের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোবাইল ফোনটি হস্তান্তর করা হয়। তিনি আরও বলেন, শিক্ষকের এমন কর্মকান্ড ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেয়ার সুযোগ রয়েছে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়