২২শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৬ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

কলকাতায় এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার খুন এবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন ফয়সাল

প্রতিদিনের ডেস্ক॥
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণ মামলার আসামি ফয়সাল আলী সাহাজী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (৩ জুলাই) ছয় দিনের রিমান্ড শেষে ফয়সালকে আদালতে হাজির করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। এরপর আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরআগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) এ মামলার আরেক আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ফকির আদালতে জবানবন্দি দেন।বুধবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে ফয়সালের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২৭ জুন মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলীর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৬ জুন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, ১২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে মুমতারিন উল্লেখ করেন, রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার ঝিনাইদহে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই। গত ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেবো।’ এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনও সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে। এই মামলায় শিমুল ভূইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূইঁয়া ও সিলিস্তা রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। রিমান্ড শেষে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়