২৩শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৭ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

লোহাগড়ায় ৫ বছর আগে মৃত সখিনা কবর থেকে এখনও পেনশনের টাকা উত্তোলন করেন!

নড়াইল সংবাদদাতা
নড়াইলের লোহাগড়ায় মৃত্যুর পরও ৫ বছর ধরে পেনশনের টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে মৃত সখিনা বেগমের নামে। অন্য একজনকে সখিনা সাজিয়ে এবং তার স্বাক্ষর জ্বাল করে উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিস ও ব্যাংকের চোখ ফাঁকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ রয়েছে সখিনার মেয়ে ঝর্ণা খানম ও নাতনী ডালিয়ার বিরুদ্ধে। জানা গেছে, উপজেলার কুমড়ি মধ্যপাড়া গ্রামের অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ফজর শেখ প্রায় ২০/ ২২ বছর আগে মারা যান। এরপর তার স্ত্রী সখিনা বেগম পেনশনের টাকা উত্তোলন করতেন। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে সখিনা বেগমও মারা যান। কিন্তু সখিনার মেয়ে সুচতুর ঝর্ণা খানম ও মাষ্টার্স পড়ুয়া নাতনি ডালিয়া খানম সখিনার মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রেখে অন্য এক মহিলাকে সখিনা বেগম সাজিয়ে তার স্বাক্ষর জ্বাল করে হিসাব রক্ষন অফিস ও সোনালী ব্যাংক লক্ষীপাশা( হিসাব নং ২৫০৫৬০১০২২৫১৭) থেকে কৌশলে ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ৫ বছরে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে। এ ব্যাপারে ঝর্ণা খানম জানান, মা মারা যাওয়ার পর আমরা কোন পেনশনের টাকা উত্তোলন করেনি। কে বা কারা ওই টাকা তুলে নিয়েছে তা জানি না। সোনালী ব্যাংক লক্ষীপাশা শাখার ম্যানেজার নূরুল আমিন জানান, উক্ত হিসাব থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সর্বশেষ সখিনার স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। হিসাবের নমিনি ঝর্ণা খানমে বাড়ীতে এ ব্যাপারে গেলে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। সরকারী টাকা ফেরতের জন্য চেষ্ট করা হচ্ছে।  উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা বিএম তামজিদ হাসান জানান,সখিনার নামে খোলা অনলাইন একাউন্টে ২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত পেনশনের টাকা জমা করা হয়েছে। সখিনার মৃত্যুর বিষয়টি গোপন করে অন্য মহিলাকে দিয়ে লাইফ ভেরিফিকেশন করে টাকা উত্তোলন করেছে। বিষটি নিয়ে কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে খুলনা অঞ্চলের অডিট এ্যান্ড একাউন্টস অফিসার মীর এনামুল হক জানান, ওই হিসাবধারীর নমিনিকে অতিরিক্ত উত্তোলনের টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরতের দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়