রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
যশোরের মণিরামপুরের রত্নেশ্বরপুর পূর্বপাড়া নব উন্নয়ন সমবায় সমিতির গ্রাহকদের প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সংস্থাটির প্রতারণার ফাঁদে পড়ে জমাকৃত টাকা না পেয়ে ভুক্তভোগীরা এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার রত্নেশ্বরপুর এলাকায় রত্নেশ্বরপুর পূর্বপাড়া নব উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, হাসান আলী, বাপ্পি হোসেনসহ কয়েকজন ২০১৯ সালে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন একই নামে দুটি প্রতিষ্ঠানটির ২০ জন সদস্য নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে ৫ বছরে মেয়াদি মাসিক ৫’শ টাকা হারে সঞ্চয় শুরু করেন। এতে সমিতির গ্রাহকদের প্রায় ১৫ লাখ টাকা সঞ্চয় জমা হয়। বর্তমানে গ্রাহকদের সঞ্চয়ের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত চান সমিতির মালিক রেজাউল ইসলাম, হাসান আলী ও বাপ্পি হোসেনের নিকট। একপর্যায়ে জমাকৃত টাকা ফেরত পেতে গ্রাহকদের কাছ থেকে তাদের পাশ বই নিয়ে নেয় সমিতির কতৃর্পক্ষ। এরপর গ্রাহকেরা টাকা ও পাশ বই ফেরত চাইলে দিচ্ছি বলে তালবাহানা করতে থাকেন সংশ্লিষ্টরা। এ থেকে পরিত্রাণের আশায় গ্রাহকেরা স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেনের শরণাপন্ন হলে তিনি মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে ডাকেন। মিমাংসার একপর্যায়ে ক্যাশিয়ার বাপ্পি হোসেন উত্তেজিত হয়ে টাকা দেবে না মর্মে বলিয়া চলে আসে। এরপর সমিতির গ্রাহকেরা টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সমিতির সদস্য বাবলুর রহমান বলেন, সমিতিতে আমার দুইটি সঞ্চয়ের বই আছে। যা প্রতিমাসে ১হাজার টাকা করে জমা রেখেছি। বর্তমানে দুটো বইতে লাভ বাদে ৬০ হাজার টাকা জমা রয়েছে। টাকা ফেরত চাইলে বাপ্পি হুমকি ধামকি দিচ্ছে। সমিতির অন্য সদস্য ফারুক হোসেন ও আনিছুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, লাভ বাদে সমিতিতে তাদের ৬০ হাজার টাকা জমা রয়েছে। বর্তমানে সমিতির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। টাকা ফেরত চাইতে গেলে খারাপ আচরণ করে। টাকা ফেরত দেয়না। আমরা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সমিতির ক্যাশিয়ার বাপ্পি হোসেন বলেন, আমাদের কার্যক্রম সাময়িক কিছু সমস্যার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেব। সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম বলেন, নামে মাত্রই আমি সভাপতি। সমিতি পরিচালনা করে ক্যাশিয়ার বাপ্পি। আমি পর্যায়ক্রমে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে দিয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি উভয় পক্ষকে ডেকে মিমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মিমাংসা হয়নি।