২৪শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৮ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

যশোরে ক্লিনিকে নারী ছিনতাইকারী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
যশোরে হাসপাতাল-ক্লিনিকে বাচ্চা থেকে শুরু করে মুল্যমান মালামাল চুরির ঘটনা নতুন কিছু না। হরহামেশাই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটে। তবে হাতে-নাতে ধরা পড়ার নজির খুবই কম। তবে চোর কখনো ছিনতাইকারী রুপেও আবির্ভুত হয়। এমনি ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কুইন্স হাসপাতালে। নড়াইল থেকে ডাক্তার দেখাতে এসে স্বর্ণের চেইন খুঁইয়েছেন নূর জাহান নামের এক নারী। তার গলা থেকে টেনে-হেঁচড়ে চেইন ছিনিয়ে দৌঁড় দেন আকলিমা নামের এক নারী। নূর জাহানের চিৎকার শুনে দৌঁড়ে পালানোর সময় ক্লিনিকের স্টাফ রিন্টু তাকে ধরে ফেলেন। উৎসুক জনতার ভিড়ে তার দেহ তল্লাশী করা হয় কিন্তু পাওয়া যায়নি খোয়া যাওয়া স্বর্ণের চেইন। তবে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্ত নারী আকলিমা চেইন ছিনিয়ে দৌঁড়ে পালাচ্ছেন। এটি চুরি নাকি ছিনতাই-তা নিয়ে ভিন্নমত আছে। কিন্তু মুহূর্তের ভেতর চেইনটি কোথায় গেল-তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। অনেকের ধারণা-আকলিমার সাথে দ্বিতীয় কোনো চোর ছিল, যেকারণে দ্রুত হাত-বদল হয়ে গেছে। যদিও অভিযুক্ত নারীর দাবি তিনি কিছু নেননি। অবশেষে তাকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে চেইন ছিনতাইয়ের পর সেখানে হাজির হন আরও দু’জন ভুক্তভোগী। ঝিনাইদহের আলী হোসেন অভিযোগ করেন তার মানিব্যাগ খোয়া গেছে এ ঘটনার কিছুক্ষণ আগে। সাড়ে ৮ হাজার টাকা ছিল তাতে। এরমধ্যে এক নারী ছুটে এসে আকমিলার গলাচেপে ধরেন। তিনি বলেন-এই সেই চোর, যে মাসখানেক আগে নাত-বউর গলা থেকে দেড় ভরি ওজনের চেইন নিয়ে ছুটে পালিয়েছিল। তিনি বেনাপোলের বাসিন্দা। তবে চাকরি করেন নোভা মেডিকেলে। কুইন্সে চোর ধরা পড়ার খবরে ছুটে আসেন। তিনি বলেন-এই মহিলা তার নাত বউর চেইন ছিনতাই করে পালিয়েছিল। তবে অভিযুক্ত নারী আকলিমার দাবি তিনি চুরি করেননি। বাড়ি ঢাকার সাভারে। আজই সকালে তিনি যশোরে আসেন। যদিও তার দাবি ধোপে টেকেনি। সিসিটিভির ফুটেজে তাকে চেইন ছিড়ে নিতে দেখা গেছে। তাছাড়া ডাক্তার দেখাতে আসা অনেকেই এই নারীকে চেইন ছিনিয়ে নিতে দেখেছেন। ক্লিনিকের একাধিক স্টাফ ও ভুক্তভোগীদের ধারণা-আকলিমার সাথে দ্বিতীয় কোনো পেশাদার চোর আছে। চুরি বা ছিনিয়ে নেয়ার সাথে সাথে ঘটে যায় হাত-বদল। অনেকটা জাদুর মতো। বিভিন্ন সূত্রমতে, শুক্রবার রোগীর ভিড় হয় বেশি। যেকারণে চুরি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা শুক্রবার বেশি ঘটে। ক্লিনিক স্টাফদের দাবি-প্রতিনিয়ত রোগীদের সতর্ক করা হয় কিন্তু এর ভেতর ঘটে যায় অঘটন। উত্তেজিত জনতার মারপিট থেকে রক্ষা করতে কোতয়ালি থানায় ফোন করা হয়। তাৎক্ষণিক এসআই আব্দুল কুদ্দুস একদল ফোর্স নিয়ে সেখানে হাজির হন। অভিযুক্ত নারী আকলিমাকে থানায় নেয়া হয়েছে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়