প্রতিদিনের ডেস্ক॥
পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার গভীরে হামলা করার অধিকার ইউক্রেনের রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাটোর এক সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, সশস্ত্র সংঘাতের আইনে একটি জাতিকে আত্মরক্ষার অধিকার দিয়েছে, তবে সেটি শুধু সীমান্তেই সীমাবদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য ইউক্রেনকে পশ্চিমা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে কি-না এ নিয়ে আলোচনা চলছে। এরইমধ্যে শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য দেখা করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করেছেন, ইউক্রেনকে পশ্চিমা তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অনুমতি দেওয়া হলে, একে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সরাসরি যুদ্ধ বলে বিবেচনা করা হবে।
প্রাগে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন এর সামরিক কমিটির এক বৈঠকে জোটের সর্বোচ্চ সামরিক কর্তৃপক্ষ, চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল রব বাউয়ার বলেছেন, সশস্ত্র সংঘাতের আইন একটি জাতিকে আত্মরক্ষার অধিকার দিয়েছে এবং সেটি ওই জাতির সীমান্তে সীমাবদ্ধ করা হয়নি। এসময় তিনি আরও বলেন, অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোরও তাদের অস্ত্র ব্যবহারের ওপর সীমাবদ্ধতা রাখার অধিকার রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘সামরিক পরিভাষায়, আপনি আক্রমণ করেন, কারণ আপনি আক্রমণকারী শত্রুকে দুর্বল করতে চান, যাতে শুধু আপনার পথে আসা তীরগুলোর সঙ্গেই লড়াই করা যায় না, তীরন্দাজকেও আক্রমণ করা যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সুতরাং, সামরিকভাবে, এমনটি করার একটি ভালো কারণ রয়েছে; শত্রুকে দুর্বল করা, তার সরবরাহ লাইন, জ্বালানী, গোলাবারুদকে যা সামনে আসে তাই মোকাবিলা করা।’