রুহুল আমিন, যবিপ্রবি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) অনুজীববিজ্ঞাণ বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ এনে ক্যাম্পাস থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে আজ তার নীজ বিভাগের এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাডেমিক ভবনের গ্যালারীতে অনুষ্ঠিত ঐ অনুষ্ঠানের সামনে ড. ইকবালকে অবরুদ্ধ করে ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার দাবি জানান। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে বাধ্য হন ঐ অধ্যাপক । ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাডেমিক ভবনের গ্যালারীর সম্মুখে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নীজ বিভাগের এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করার খবর শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ঐ অনুষ্ঠানের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন এবং ঐ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিনি অনুষ্ঠান ছেড়ে শিক্ষকদের ডরমেটরীর নিজ বাসায় চলে যান। এরপর শিক্ষার্থীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ত্যাগের জন্য ১৫ মিনিট সময় বেধে দেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে প্রক্টরের নিরাপত্তায় ক্যাম্পাস ছাড়েন ড. ইকবাল। এ বিষয়ে কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাদেকা শাহানি উর্মি বলেন, আমাদের উপাচার্য যেদিন পদত্যাগ করে তখন ড. ইকবাল কবির জাহিদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। তাকে বলা হয় তিনি যেন আর ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করেন। তারপরেও তিনি অবাধে চলাফেরা করছিলেন। তাকে প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা একটি চিঠিও প্রদান করি। তারপরও আজকে মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রামে তাকে দেখে শিক্ষার্থীরা আর সহ্য করতে পারেনি। পরবর্তীতে অবাঞ্চিত ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া হয়। এ বিষয়ে যবিপ্রবির প্রক্টর আমজাদ হোসেন ড. ইঞ্জি. বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও নীল দলের সভাপতি ড. ইকবাল কবির জাহিদ কে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি দিয়ে মেইন গেইট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছি। তার সাথে কথা বলা হয়েছে সে চলে যেতে সম্মতি জানায় এবং তার সম্মতিতেই তাকে এগিয়ে দিয়ে আসি।