৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

হেরে গেলে আর নির্বাচন করবেন না ট্রাম্প

প্রতিদিনের ডেস্ক॥
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজিত হলে আর প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবেন না। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প টানা তিনটি জাতীয় নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হয়েছেন। সিনক্লেয়ার মিডিয়া গ্রুপের সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ডেমোক্র্যাটিক ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের কাছে হেরে গেলে ২০২৮ সালের নির্বাচনে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা?
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘না, বোধহয় লড়ব না।আমি মনে করি… এবারই শেষ। এবার হারলে আমি একেবারেই আর আশা করছি না।’ তবে তিনি বলেছেন, ‘আমি আশা করি, আমরা এবার সফল হতে যাচ্ছি।’
মার্কিন আইনে দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে কেউ থাকতে পারেন না।
তাই, এবার জয়লাভ করলেও ২০২৮ সালে নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকবেন না ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি-আমেরিকান কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্ভাব্য পরাজয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
ট্রাম্প জানান, এমন কিছু হলে (নির্বাচনে পরাজয়) ইহুদি ভোটারদের তাতে আংশিক ‘দায়’ থাকবে। তিনি বলেছেন, ‘আমি হারলে তার অর্থ কী (ভোটাররা) বুঝতে পারছেন না? সেক্ষেত্রে, ইহুদি ভোটারদেরও কিছু দায় থাকবে।
কারণ আমার দিকে ৪০ শতাংশ সমর্থনের অর্থ, ৬০ শতাংশ মানুষ শত্রুকে ভোট দেবেন।’
সাবেক প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে ডেমোক্র্যাট শিবির ও নির্দলীয় মার্কিন ইহুদি সমিতি।এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। এ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে যে এগিয়ে থাকবে তিনিই আগামী নির্বাচনে জয়ী হবেন।
এদিকে এক হাজার জন ভোটদাতার সঙ্গে কথা বলে এনবিসি টিভি-র সমীক্ষা জানাচ্ছে, ৪৮ শতাংশ মানুষ হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে চাইছেন।
৪০ শতাংশ চাইছেন ট্রাম্পকে। গত জুলাইতে হ্যারিসকে চাইছিলেন ৩২ শতাংশ মানুষ। এবং ট্রাম্পকে ৩৮ শতাংশ। এনবিসি জানিয়েছে, জুলাই ও সেপ্টেম্বরের পরিস্থিতির মধ্যে বিশাল পার্থক্য দেখা দিয়েছে। এনবিসি নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, ১৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর এই সমীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা তিন পার্সেন্টেজ পয়েন্ট।
সিবিএস-এর জনমত সমীক্ষাতেও হ্যারিস ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে আছেন। সেখানে হ্যারিস ৫২ শতাংশ ও ট্রাম্প ৪৮ শতাংশ ভোট পাবেন বলে জানানো হয়েছে। সিবিএসের দাবি, তাদের সমীক্ষায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা হলো দুই পার্সেন্টেজ পয়েন্ট। অর্থাৎ, ট্রাম্প বা হ্যারিস দুই শতাংশ ভোট কম-বেশি পেতে পারেন।
সূত্র : বিবিসি

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়