২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

ভবদহের করাল গ্রাস-অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

জি এম ফারুক আলম, মণিরামপুর
ভবদহের স্থায়ী জলাবদ্ধতা ও বিগত লঘুচাপে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। শংকা ও ঝুকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। শুধু স্কুলে নয়, বসতবাড়িও তলিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সন্তানের লেখাপড়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব ও নিরাপত্তা নিয়ে। সরেজমিন জানাযায়, উপজেলার সতেরটি ইউনিয়নের মধ্যে ভবদহের জলাবদ্ধতা গ্রাস করে রেখেছে কুলটিয়া, নেহালপুর, মনোহরপুর ও দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন। এসব এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও হাটু পানি আর কোথাওবা কোমর সমান পানিতে ভিজে স্কুলে-কলেজে যেতে হচ্ছে। বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, প্রতিদিন ক্লাসে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠছেনা। স্কুল ড্রেস ভিজে যাচ্ছে, যদি বই-খাতা পানিতে পড়ে যায় তাহলে খুবই সমস্যা হবে। এ অবস্থায় আমাদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতা রানী ঘোষ বলেন, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু বর্ষার শেষে এখন ক্রমান্বয়ে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই স্কুলে উপস্থিতি খুবই কম। আমাদের স্কুলের রাস্তা খুবই নীচু হওয়ায় সেখানে কোমর সমান পানি। যাতায়াত খুবই সমস্যা তাই আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সমস্যার সমাধানকল্পে আবেদন দিয়েছি। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, তলিয়ে যাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধানগণ শিক্ষা অফিসে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে আবেদন করেছেন। এসব বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু মোত্তালেব আলম বলেন, এখন অনুষ্ঠানে আছি কিছু বলতে পারবনা, তবে পরবর্তী সময়ে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মাধ্যমিক উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন বলেন, উপজেলার কুলটিয়া, নেহালপুর, মনোহরপুর ইউনিয়নে স্কুল-কলেজ পানিতে তলিয়ে গেছে। বর্তমান প্রাকৃতিক পরিবেশে পরিস্থিতিতে যতটুকু সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে, তবে পরিবেশ অনুকূল হলে শিক্ষার ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতা মোকাবেলা, চলাচলের রাস্তা মেরামত ও পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের পদক্ষেপ কী এমন প্রশ্নের জবাবে মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না বলেন, এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি তবে, পরবর্তীতে জানানো হবে।

 

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়