প্রতিদিনের ডেস্ক॥
সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে ‘ওপেনএআই নিউজরুম’ নামে কোম্পানিটির অফিশিয়াল প্রেস অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। ওপেনএআই জানিয়েছে, ভুয়া টোকেনের তথ্য শেয়ার ও প্রতারণামূলক কার্যক্রম প্রচার করতে অ্যাকাউন্টটি দখল করে নিয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতারকরা। এক্সের এ অ্যাকাউন্ট মূলত কোম্পানির পণ্য এবং নীতির সম্পর্কে আপডেট দেয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। খবর টেকক্রাঞ্চ।
কোম্পানিসংশ্লিষ্টরা জানান, সোমবার বিকালে হ্যাক হওয়া ওপেনএআই অ্যাকাউন্টটি ‘$ওপেনএআই’ নামে একটি কাল্পনিক ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে ভুয়া বার্তা শেয়ার করা শুরু করে। পোস্টগুলো মিথ্যা দাবি করে, ‘ওপেনএআই এই টোকেন চালু করছে এবং ব্যবহারকারীদের এর একটি অংশ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে ভবিষ্যতের ওপেনএআই বেটা প্রোগ্রামে প্রবেশাধিকার পাওয়া যাবে।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) স্টার্টআপ কোম্পানিটি নিশ্চিত করেছে, টোকেনটি ভুয়া ও আসলে বিদ্যমান নয়। হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্টটির পোস্টে একটি ফিশিং ওয়েবসাইটের লিংক অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা দেখতে অফিশিয়াল ওপেনএআই সাইটের মতো। প্রতারণামূলক সাইটটি ব্যবহারকারীদের একটি ‘ক্লেইম $ওপেনএআই’ অপশনে ক্লিক করে তাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট সংযুক্তিতে উৎসাহিত করছিল। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এভাবে তারা লগইন তথ্য চুরি করতে পারে। এছাড়া কেউ যেন প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে না পারে সে উদ্দেশ্যে পোস্টের মন্তব্যগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল।
ওপেনএআই সম্পর্কিত অ্যাকাউন্টগুলো লক্ষ্য করে প্রতারণা করার বিষয়টি এই প্রথম নয়। গত বছর জুনে ওপেনএআইয়ের প্রধান টেকনোলজি-বিষয়ক কর্মকর্তা মীরা মুরাতির এক্স অ্যাকাউন্টও হ্যাক করা হয়েছিল। সেইবারও প্রতারকরা একইভাবে ভুয়া টোকেন প্রচার করেছিল। এছাড়া তিন মাস আগে কোম্পানিটির প্রধান বিজ্ঞানী জাকুব পচোকি এবং গবেষক জেসন ওয়েইয়ের অ্যাকাউন্টও একই ধরনের প্রতারণামূলক পোস্ট ছড়াতে হ্যাক করা হয়েছিল।
টেকক্রাঞ্চের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্রযুক্তি কোম্পানি ও সেলিব্রিটিদের প্রোফাইলকে উদ্দেশ করে এ ধরনের হ্যাকিংয়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
২০২০ সালে বিটকয়েন স্ক্যাম প্রচারের উদ্দেশ্যে হ্যাকাররা প্রখ্যাত কিছু ব্যক্তিত্ব এবং কোম্পানির অ্যাকাউন্ট লক্ষ্যবস্তু করেছিল, যার মধ্যে ছিল অ্যাপল, ইলোন মাস্ক ও জো বাইডেন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে আমেরিকানরা এসব প্রতারণার মাধ্যমে ৫৬০ কোটি ডলার হারিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি। ফেডারেল ট্রেড কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথমার্ধে ৫০ হাজারেরও বেশি এ ধরনের স্ক্যাম রিপোর্ট করা হয়েছে।

