প্রতিদিনের ডেস্ক॥
পুরোপুরি যতদিন পলিথিনের শপিং ব্যাগ উৎপাদন বন্ধ না হয় ততদিন পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।তিনি বলেন, একটা বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার বাস্তব প্রয়োগ শুরু করেছি। একবার বছর দুয়েকের জন্য প্রয়োগ হয়েছিল। মার্কেট মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পলিথিন প্রায় উঠে গিয়েছিল। তারপর আর মার্কেট মনিটরিং ছিল না, এটা আবার ফেরত এসেছে।তিনি আরও বলেন, সুপার শপের মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা খুব খুশি মনে পাটের ব্যাগের ব্যবহার করতে রাজি হয়েছেন। কারণ পলিথিনের বিপদটা তারা বোঝেন। নিজেদের সন্তানদের জন্য এটা একটা ভালো কাজ।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জিগাতলায় সুপার শপে নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বর্জন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা পাট মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলেছি। আমরা যৌথভাবে এই ক্যাম্পেইনটা করছি। যাতে পলিথিন শপিং ব্যাগ উঠে যায়। আস্তে আস্তে পাট এবং কাপড় বা পুরনো কাপড় যেগুলো আমরা ফেলে দিই সেগুলোর রি ইউজ করে ব্যাগ হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। মোট কথা হচ্ছে, পলিথিন শপিং ব্যাগের উপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের দিকে যাওয়া। আমরা সুপার শপ দিয়ে শুরু করেছি। ক্রমে ক্রমে আমরা ঢাকার বাইরে যাব।
তিনি বলেন, কাঁচা বাজারের কাজ শুরু হবে ১ নভেম্বর থেকে। সুস্পষ্টভাবে বলা যেসব ধরনের প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে আমাদের এই যুদ্ধ না। আমাদেরই কাজটা হচ্ছে শুধুমাত্র পলিথিনের শপিং ব্যাগের বিরুদ্ধে৷
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন। ময়লার বিনের জন্য এখান থেকে যে পলিথিন তারা কিনে নেন সেটার উপরেও আপাতত আমাদের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই৷ কারণ আমরা এখনো বিকল্পে যেতে পারিনি। এখান থেকে কিছু কিনে নেওয়ার সময় তারা পলিথিনের ব্যাগ নেবেন না এবং বাসা থেকেও কোনো পলিথিনের ব্যাগ আনবেন না। যত দ্রুত সম্ভব পলিথিনের ব্যাগ আমরা দেশ থেকে সরিয়ে দিতে চাই৷
তিনি বলেন, পলিথিনের ব্যবহার রাতারাতি বন্ধ করতে পারব না। তবে কিছু পলিথিন যেগুলো একবার ইউজ করে আমরা ফেলে দিই সেগুলো খালে, নর্দমা, সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। এগুলো যেন সংবেদনশীল জায়গায় না যায়। আমরা সেন্ট মার্টিন থেকে কাজটি শুরু করতে যাচ্ছি। সেন্ট মার্টিনের হোটেল মোটেলগুলোতে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক থেকে মুক্ত করা৷
বাজার মনিটরিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক বছর ধরে মনিটরিং হয় না। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একবার মার্কেট মনিটরিং হয়েছিল। যার ফলে পলিথিনের ব্যবহার কমে এসেছিল। আমাদের লোকবলের অভাব আছে। সে জন্য আমরা সুপার শপে শুরু করেছি। এখানে মনিটরিং করা আমাদের জন্য সুবিধার।