উৎপল মণ্ডল, শ্যামনগর
নানীর মৃত্যুর খবর পেয়ে নানাবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় ১৪ বছরের কিশোরী আসমা আক্তার। পথিমধ্যে বৈশখালী এলাকার মজিদ মাস্টারের বাড়ির সামনে পৌছালে বখাটে হাসান, হানিফ ও রিয়াজুল তার গতিরোধ করে। এসময় হাত ধরে টানাটানিসহ মটর সাইকেলযোগে গন্তব্যে পৌছে দেয়ারও প্রস্তাব দেয় তারা। একপর্যায়ে খালাত ভাইয়ের সহায়তায় মৃতবাড়িতে পৌছেও পিতামাতাসহ ঐ কিশোরী বখাটেদের হামলার শিখার হয়েছে। আসমা পাশবর্তী রাশিদিয়া মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে ১ অক্টোবর(মঙ্গলবার)বিকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বৈশখালী গ্রামে। বখাটেদের হামলায় আহত আসমাসহ তার পিতা ফারুক হোসেন(৩৮) ও মাতা রাশিদা বেগম(৩৩) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সন্তানসম্ভবা রাশিদার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতােেল পাঠানো হয়েছে।
ফারুক হোসেনসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তার শ্বাশুড়ির মৃতু্ হয়। খবর পেয়ে অন্যরা মৃত বাড়িতে পৌছালেও মাদ্রাসায় থাকায় আসমা যথাসময়ে সেখানে পৌছাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যঅয়ে মাদ্রাসা থেকে ফিরে একাকী নানার বাড়িতে যাওয়ার সময় তার গতিরোধ করে হাসান, হানিফ, রিয়াজুল। এসময় তার ভাইরার ছেলে সাইফুদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌছে বখাটেদের বকাঝকা দিয়ে আসমাকে নিয়ে মৃতবাড়িতে পৌছায়। এঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যে বখাটে হাসান ও হানিফের নেতৃত্বে আলআমিন, আকরাম ও রিয়াজুলসহ ১৪/১৫ জন তরুন ও যুবক লাঠিশোটা নিয়ে উক্ত মৃতবাড়িতে পৌছে নারকীয় তান্ডব চালায়। এসময় হামলাকারীদের মারধরে আসমাসহ তার সন্তানসম্ভবা মা ও পিতা মারাত্বকভাবে আহত হয়। অভিযোগের বিষয়ে আলআমিন বলেন,তিনি মিমংসার কথা বলে চলে আসেন। পরে অন্যরা মারধর করে বলে জানতে পেরেছেন। অপর অভিযুক্ত হানিফ হোসেন জানান,তিনি ছিলেন না তবে আলআমিনসহ আরও কয়েকজন মরা বাড়িতে ঢুকে মারপিট করেছেন।শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, আহতরা থানায় আসার পর তাদেরকে প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।