প্রতিদিনের ডেস্ক॥
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর কথিত নির্যাতনের জেরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে কোনো বৈঠক করেননি। কিন্তু ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বৈঠক করেছেন। যা ভারতকে চিন্তিত করে তুলেছে। জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন ইউনূস। পাশাপাশি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট, বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান এবং এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) শীর্ষকর্তার সঙ্গেও আলাদা করে আলোচনা হয়েছে তার। যারাই ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা সবাই আশ্বস্ত করেছেন শেখ হাসিনা পরবর্তী সরকারের প্রয়োজনীয় সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবেন। যার মধ্যে থাকবে কৌশলগত, বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা। আনন্দবাজার জানিয়েছে, পশ্চিমা নেতাদের কাছ থেকে সহযোগিতার প্রতিশ্রতি আদায় করে নিয়ে ইউনূস সরকার ভারতের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করছেন কিনা সেই প্রশ্নও উঠে আসছে ভারতের কূটনৈতিক মহলে। এছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং উইর সঙ্গে ড. ইউনূসের আলোচনাও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে ভারতকে। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক গভীরের যে নীতি এখন অবলম্বন করা হচ্ছে এর মাধ্যমে বার্তা যাচ্ছে যে, জামায়াতে ইসলামীকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। যা ভারতের জন্য কোনোভাবেই স্বস্তির বিষয় নয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে যদি সম্পর্ক বৃদ্ধি পায় তাহলে এটি আটকানোর মতো ‘অস্ত্র’ এখন ভারতের কাছে নেই। সূত্র: আনন্দবাজার