প্রতিদিনের ডেস্ক॥
মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় খরচ হওয়া ডাটার পরিমাণকে বলা হয় ‘ডাটা ব্যবহার’ বা ডাটা ইউজেস। এ ব্যবহারের পরিমাণ মেগাবাইট (এমবি) দ্বারা মাপা হয়। স্মার্টফোনে মূলত ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ নির্ভর করে ব্যবহৃত অ্যাপগুলোর ওপর। যেমন মুভি স্ট্রিমিং ও বড় ফাইল ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে বেশি ডাটা খরচ হয় আর শুধু মেসেজিং এবং খবর পড়ার ক্ষেত্রে কম ডাটার প্রয়োজন হয়। ই-সিম ও সিম কার্ড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হোলাফ্লাই কয়েকটি মোবাইল অ্যাপ চিহ্নিত করেছে, যেগুলো বেশি ডাটা ব্যবহার করে। খবর গিজচায়না। হোলাফ্লাইয়ের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডাটা ব্যবহার করেছে ইউটিউব। এটি প্রতি পাঁচ মিনিটে ১৯৩ মেগাবাইট পরিমাণ ডাটা ব্যবহার করে, যা ডিজনিপ্লাস থেকেও অনেক বেশি। কারণ ইউটিউবের ভিডিও ফাইলগুলোর আকার বেশ বড়, যা অনেক ভিজুয়াল ও অডিও তথ্য ধারণ করে। অন্যান্য স্ট্রিমিং পরিষেবার সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে, ইউটিউব ও ডিজনিপ্লাস অনেক বেশি ডাটা ব্যবহার করে। যেমন প্রাইম ভিডিও ডিজনিপ্লাসের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এবং ইউটিউবের অর্ধেক ডাটা ব্যবহার করে। নেটফ্লিক্স, হুলু ও অ্যাপল টিভি আরো কম ডাটা ব্যবহার করে। মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ স্পটিফাই প্রতি পাঁচ মিনিটে ৭ এমবি ডাটা খরচ করে। তবে প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্ট্রিমিং অ্যাপগুলোর মধ্যে ডাটা ব্যবহারের ভিন্নতা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। প্রতিটি অ্যাপ ভিডিও ফাইলগুলো কীভাবে পরিচালনা করছে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। আইফোন১৫ প্রো ম্যাক্সে দেখা গেছে, এটি স্থানীয় ব্যান্ডউইডথ ও ইন্টারনেট সংযোগের গতির ওপর ভিত্তি করে রেজল্যুশন সমন্বয় করে। নেটওয়ার্কের পরিস্থিতি ভালো হলে এটি উচ্চতর ডাটা ব্যবহারে নিয়ে যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডাটা ব্যবহারকারী অ্যাপ হিসেবে নাম এসেছে স্ন্যাপচ্যাটের, যা প্রতি ৫ মিনিটে ১০১ এমবি ডাটা খরচ করে। অবশ্য ডাটা সেভার মোড চালু করলে এ ব্যবহারের পরিমাণ কমানো যেতে পারে, তবে এটি অ্যাপের কর্মক্ষমতার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। রাইডশেয়ার অ্যাপগুলোর মধ্যে উবার ১০২ এমবি ব্যবহার করে, যা তার প্রতিযোগী বোল্টের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। হোলাফ্লাই আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোও বিশ্লেষণ করেছে। এক্ষেত্রে তারা দেখেছে, অ্যাপলের ডিফল্ট ব্রাউজার সাফারি সবচেয়ে বেশি ডাটা ব্যবহার করে, যা প্রতি ৫ মিনিটে ৫৬ এমবি। ডাটা ব্যবহার পরিমাপ করতে হোলাফ্লাই ‘মাই ডাটা ম্যানেজার’ অ্যাপটি ব্যবহার করেছে। তারা আইফোন১৫ প্রো ম্যাক্স ও অ্যান্ড্রয়েড শাওমি রেডমি ৯-এ জনপ্রিয় অ্যাপগুলো পরীক্ষা করেছে। এ সময় তারা ফোনের অন্য অ্যাপগুলো অচল করে দিয়েছিল এবং ওয়াই-ফাই বন্ধ করে দেয়। তারপর তারা প্রতিটি অ্যাপ খুলে একটি টাইমার চালু করে এবং ৫ মিনিট ব্যবহারের পরে তারা মাই ডাটা ম্যানেজার রিপোর্ট থেকে দেখা ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ (মেগাবাইটে) রেকর্ড করে।