খুবি সংবাদদাতা॥
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের ’২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও ’১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান আজ ০৬ অক্টোবর (রবিবার) দুপুর ২.৩০ মিনিটে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজমান। পাশাপাশি কো-কারিকুলা ও এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসের জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ রয়েছে এখানে। সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনের বিকাশ হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বদানের সক্ষমতা ও শিক্ষাপরবর্তী জীবনের অধ্যায় শুরু করা সম্ভব হয়। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে পরাধীনতার শেকল ভাঙতে হয়। এই শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যখন শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছিল, তখন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ও শিক্ষকদের আন্তরিকতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কার্যক্রমসহ সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, বাবা-মায়ের পরেই শিক্ষকের স্থান। তাই সব শিক্ষার্থীর উচিত শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান করা। শিক্ষকদেরও উচিত সব শিক্ষার্থীকে নিজ সন্তানের মতো স্নেহে আগলে রাখা। এতে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। যা গুণগত শিক্ষা অর্জন ও প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদার, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত। আরও বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিপ্লিনের প্রভাষক সুতপা দে বর্ণা। অনুষ্ঠানে নবীন ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এছাড়া ২০২৩ সালে আন্তঃডিসিপ্লিন ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়দের ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
পরে নবীনবরণ উপলক্ষ্যে এক শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের অধিকাংশ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় ডিসিপ্লিন প্রধানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।