প্রতিদিনের ডেস্ক:
তাইওয়ানের সীমানার কাছে আবারও সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। দেশটির ‘স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীকে’ তাদের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের’ জন্য সোমবার (১৪ অক্টোবর) এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বেইজিং। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।চীনা সামরিক বাহিনীর ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড বলেছে, মহড়া তাইওয়ান প্রণালি এবং তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে “জয়েন্ট সোর্ড-২০২৪বি” মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।ইংরেজি ও চীনা ভাষায় প্রকাশিত বিবৃতিতে সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই মহড়া তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমাদের সতর্কবার্তা। রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত করতে এটি আমাদের বৈধ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’
গত সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই ছিং-তের ভাষণের পর থেকে চীনের সামরিক মহড়া নিয়ে বেশ সতর্ক অবস্থানে আছে দেশটি। ওই ভাষণে তিনি বলেছিলেন, তাইপেকে প্রতিনিধিত্ব করার কোনও অধিকার বেইজিংয়ের নেই। তবে দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সামনে অগ্রসর হতে পারে। তার এই বক্তব্য ভালোভাবে নেয়নি চীন। গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানকে নিজ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত মনে করে থাকে দেশটির সরকার।তাইওয়ানের চারপাশের মহড়া চলার স্থানগুলো চিহ্নিত করে একটি মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। মহড়ার জন্য নয়টি স্থান নির্দিষ্ট করা হয়েছে। দেশটির পূর্ব উপকূলে দুইটি, পশ্চিম উপকূলে তিনটি, উত্তর উপকূলে একটি ও চীনা উপকূলের নিকটবর্তী তাইওয়ান নিয়ন্ত্রিত দ্বীপমালা ঘিরে তিনটি।ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তাইওয়ানের দিকে বিভিন্ন দিক থেকে চীনা জাহাজ ও এয়ারক্র্যাফট অগ্রসর হচ্ছে। তাদের মহড়ার লক্ষ্যে রয়েছে নৌ ও বিমান যুদ্ধপ্রস্তুতি, প্রধান বন্দর অবরোধ, নৌ ও স্থল লক্ষ্যবস্তুতে হামলা ইত্যাদি।তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও কোস্ট গার্ড উভয়েই নিজস্ব বাহিনী মোতায়েন করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।এদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি-জেনারেল জোসেফ উ অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট লাইয়ের আন্তরিকতা উপেক্ষা করেছে চীন।তাইপেতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘অন্য দেশকে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে হুমকি দেওয়া কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমন কার্যকলাপ জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থি।’

