অপূর্ব মৃন্ময়
বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে রোববার (১৩ অক্টোবর) শেষ হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এদিন সকালে সারাদেশের মতো যশোরেও দর্পণ-বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। সন্ধ্যায় লালদীঘি পুকুরে শুরু হয় প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। লালদীঘি পুকুরে প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে নেমেছিল মানুষের ঢল। যশোর পৌরসভার তত্ত্বাবধানে শহরের ৪৯টি মন্ডপের প্রতিমা লালদীঘিতে বিসর্জন দেয়া হয়েছে। বিসর্জন উপলক্ষে লালদীঘি এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্কাবস্থানে দেখা যায়। প্রতিমা বিসর্জনের সময় ভক্তদের অশ্রুসিক্ত দেখা যায়। মঞ্চে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ, যশোর সেনানিবাসের লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোস্তফা কামাল, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলসহ শহরের বিভিন্ন স্তরের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ। যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন-সভাপতি দীপংকর দাস রতন। এদিন বিকাল থেকেই মন্দির-মন্ডপে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে দুর্গা মাকে বিদায় জানান ভক্তরা। এ সময় স্বামীর মঙ্গল কামনায় সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন বিবাহিত নারীরা। লালদীঘি ছাড়াও জেলার বিভিন্ন নদী এবং পুকুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি, কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।

