প্রতিদিনের ডেস্ক:
পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘূণিঝড় ‘দানা’ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে এটি পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহওয়া বিভাগ। এর পরই রাজ্যটিতে টানা ৪ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এক দিনের জন্য রেল যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৩ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এই খবর জানিয়েছে।এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় দানা সম্পর্কে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের (আইএমডি) পূর্বাভাসের পর মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের ৯ টি জেলার সব স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত চারদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে। বুধবার থেকেই সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হচ্ছে।এদিকে, টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের শিয়ালদহ ডিভিশনে ১৬০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত সেখানে কোনও ট্রেন চলাচল করবে না।মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পূর্বাঞ্চলীয় রেল জানিয়েছে, ২৪ তারিখ ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত এসব ট্রেন বাতিল হয়েছে। আর দক্ষিণ থেকে শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা থেকে ২৫ অক্টোবর সকাল ১০ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।আবার শিয়ালদহ হাসনাবাদ শাখায় ট্রেন চলাচল ২৪ অক্টোবর রাত ৮টা থেকে ২৫ অক্টোবর সকাল ১০টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের অগ্নিনির্বাপক ও জরুরি পরিষেবামন্ত্রী সুজিত বোস জানিয়েছেন, রাজ্যের ৮৫টি কেন্দ্রে তাদের দল মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ১১টি দল দক্ষিণ কলকাতায়, ৮টি উত্তর কলকাতায়, ১২টি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায়, ২৪টি উত্তর চব্বিশ পরগনায়, ৬টি হাওড়ায়, ৪টি পশ্চিম মেদিনীপুরে এবং ৫টি পূর্ব মেদিনীপুরে অবস্থান করবে।মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে কতর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। আমরা ৮৫টি কেন্দ্রে দল মোতায়েন করব। পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রণ কক্ষে একটি মনিটরিং ব্যবস্থাও থাকবে।’